অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহন পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ১১:৩২

remove_red_eye

৫১৯

মোঃ জসিম জনি, লালমোহন থেকে : লালমোহন পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১৪ অক্টোবর এ পৌরসভার ভোট গ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর এ পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর লালমোহন পৌরসভার নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহভাপতি আব্দুর রাজ্জাক পঞ্চায়েত, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল নৌকা প্রতীক পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তারা বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। দলীয় প্রতীক পেতে হাই কমান্ডে লোবিং গ্রæপিংও চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ৪ প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে জমাও দিয়েছেন। এখন আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণার বাকী। মেয়র পদে বিএনপির কোন প্রচার প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না এলাকায়। মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও বসে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রায় হাফ ডজন করে প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিছিয়ে নেই সম্ভাব্য মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারাও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে।
বর্তমান মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, আমি বিগত সময়ে মেয়রের দায়ীত্ব পালন করে যে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছি তাতে জনগণ আমাকে আবারো নির্বাচিত করবে। আমি আবারো মেয়র নির্বাচিত হলে লালমোহন পৌরসভাকে উন্নয়নের রোল মডেল করবো। এ পৌরসভা থেকে মাদক নির্মূল, আধুনিকায়ন, রাস্তাঘাট নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করবো।
মেয়র প্রাার্থী আব্দুর রাজ্জাক, দিদারুল ইসলাম অরুন ও শফিকুল ইসলাম বাদলও লালমোহন পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা করার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশা করেন। তারা বলেন, জনগণের সেবা করার ইচ্ছা আমাদের। মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক পৌরসভা গঠন করব। পৌরসভার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবো। মাদক নির্মূল, বাল্য বিয়ে বন্ধসহ বিভিন্ন সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কাজ করবো।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও মামলার কারণে দীর্ঘ ৯ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে। লালমোহন পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছে ১৯ হাজার ৮০জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৮৮ জন আর মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৩’শ ৯২ জন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার আমির খসরু গাজী জানান, লালমোহন পৌরসভার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রত্যাহার ২২ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৪ অক্টোবর। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার লক্ষে নির্বাচন কমিশন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।