অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


দৌলতখানের গৃহবধূ মিম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ১১:২০

remove_red_eye

৪৮৯

 

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের দুদু মিয়া হাওলাদার বাড়িতে ১১মাসের এক শিশু সন্তানের জননী নুসরাত জাহান মীম (২২) নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতাদেরর দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধনে কয়েক শত নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-মিম এর মা ফরিদা বেগম,ভাই শহিদুল ইসলাম,আকবর হোসেন রাছেল,ইমরান হোসেন,রাকিব পন্ডিত প্রমুখ। এ সসময় নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের পর কয়েক দফায় জামাই মনিরকে স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার যৌতুক দেয়া হয়েছে। আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার জন্য স্বামী মনির,শশুর জেবল হক হাওলাদার, শাশুড়ী, দেবর ছোটন এবং ননদ শাহিনুর আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করে আসছে। গত দুই তিন দিন পূর্বেও ফোন করে পরিবারের সদস্যদের কাছে স্বামী, শশুর, শাশুড়ী, দেবর ছোটন ও ননদ শাহীনুরের নির্যাতনের কথা বলে কান্না কাটি করেছে। এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে চাইলে মীম তাদের দ্বারা আরো বেশি নির্যাতন হবে বলে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে। যৌতুক না দেওয়ায় শশুর বাড়ীর লোকজন ক্ষিপ্ত শুক্রবার দুপুর আড়াই টার সময় মিমকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ তারা অত্মহত্যা করছে বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে মিম হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য একটি বিষেশ মহলের সহযোগীতায় স্বামী মনির, শশুর জেবল হাওলাদার,শাশুড়ী, দেবর ছোটন ও ননদ শাহিনুর মীম আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী,শশুর, দেবর ও ননদ পলাতক রয়েছে। তাই এ ঘটনার সুুষ্ঠ তদন্ত করে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তারা দাবী জানান এবং জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহতের গলার দুই পাশে দাগ রয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।