অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


মনপুরা দাসেরহাট স: প্রা: বিদ্যালয়ের মাঠে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ১১:৩৪

remove_red_eye

৭০০

 

মনপুরা প্রতিনিধি : কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এক হাতে বই ও অন্যহাতে জুতা নিয়ে ঢুকতে হয় স্কুলে। এতে অনেক সময় স্কুল মাঠের জলাবদ্ধ পানিতে পড়ে বইসহ স্কুল ড্রেস ভিজে যায়। ভিজা ড্রেসে পাঠদান করতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদের। বর্ষা মৌসুমের পুরোটা সময় বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকে স্কুল মাঠ। বছরের অর্ধেক সময় জুড়ে এমনই চিত্র দেখা মেলে ভোলার মনপুরা উপজেলার দাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

বছরের অর্ধেকটা সময় জলাবদ্ধ মাঠ থাকায় জাতীয় সংগীত সহ শপথবাক্য পাঠ হয় না স্কুলটিতে। এমনকি কোমলমতি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করতে না পারায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে।

বছরের পর বছর প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়ে ও সুরাহা করতে পারেনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও জলাবদ্ধ মাঠে সাপ ও জোঁকের কামড়ের ভয়ে স্কুল আসেছেনা শিক্ষার্থীরা এমন কথাও জানান ওই প্রধান শিক্ষক।

সরেজমিনে দাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, দল বেঁধে শিক্ষার্থীরা আসছে স্কুলের সামনে। এসেই পরনের প্যান্ট ভাঁজ করে উপরে উঠাচ্ছে। পরে পায়ের জুতা খুলে এক হাতে ও অন্যহাতে বই নিয়ে জলাবদ্ধ মাঠ পেরিয়ে স্কুলে ঢুকছে শিক্ষার্থীরা। কেউ আধা ভিজা ও কেইবা পুরো ভিজে গেছে। এরপর আধা ভিজা ও পুরো ভিজে নিয়ে পাঠদান শুরু। স্কুল মাঠ পানিতে ডুবে থাকায় খেলাধূলা করতে না পেরে ক্লাশ রুমে হৈ চৈ করে আনন্দ নেওয়ার চেষ্ঠা।

ওই স্কুলের ৩য় শ্রেণীর তানবির, রাহিম , ৪র্থ শ্রেণীর রাহাত ও পঞ্চম শ্রেণীর তানিয়া সহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই স্কুলে পড়া-লেখা করতে ভালো লাগে না। খেলার মাঠ পানিতে ডুবে থাকে, খেলতে পারিনা। স্কুলে প্রবেশ করার সময় বেশিরভাগ সময় পানিতে পড়ে গিয়ে কাপড় ভিজে যায়। ভিজা কাপড়ে পড়তে হয়। এই সময় একসাথে শিক্ষার্থীরা স্কুলের মাঠ ভরাট করে দেওয়ার দাবী করেন।

দাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চপলা রাণী দাস জানান, বছরের অর্ধেকটা সময় স্কুলের মাঠে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে জাতীয় সংগীত সহ শপথবাক্য পাঠ করানো যায় না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ করানো সময় সাপ ও জোঁকের কামড়ের ভয় পায়। পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরোও জানান, দীর্ঘদিরে এই সমস্যাটা প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক সমস্যাটির কথা জানানোর পর উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক জানান, স্কুলের মাঠের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে প্রধান শিক্ষক এসেছে। বর্ষা শেষে আগামী শীতে মাঠ ভরাট করে দেওযা হবে।