অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ১১ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৭শে পৌষ ১৪৩১


স্ত্রী-ছেলেসহ’ তিনজনকে হত্যার পর যা বললেন এসআই সৌমেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ই জুন ২০২১ রাত ০৯:৪৩

remove_red_eye

৬৩১

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় এসআই সৌমেন কুমার রায়ের ‘স্ত্রী ও সৎ ছেলে’সহ তিনজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জেলা শহরে। রোববার দুপুরে শহরের কাস্টমস মোড়ের একটি ভবনের নিচ তলার মার্কেটে গুলি করে হত্যার ওই ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজিত জনতা আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন জানিয়েছেন, নিহত নারী আসমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী এবং সন্তান অন্যত্র থাকেন। কেন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন এমন প্রশ্নে সৌমেন জানিয়েছেন, বিকাশ কর্মী শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে আসমাকে নিজের স্ত্রী দাবি করলেও কোন কাজগপত্র দেখাতে পারেননি সৌমেন। গুলিতে নিহত শিশুটি আসমার প্রথম ঘরের সন্তান।

জানা গেছে, আসমার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বছর দেড়েক আগে ডিভোর্স হয়। এরপর তিনি কুষ্টিয়া শহরে ছেলেকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। এসময় সৌমেন রায় কুষ্টিয়ার হালসা পুলিশ কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠে। হালসায় থাকা অবস্থায় আসমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে সৌমেনের। তবে দুই জন দুই ধর্মের হওয়ায় তাদের বিয়ে হয়েছে কিনা তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। নানা অভিযোগের কারণে সৌমেনকে হালসা থেকে খুলনার ফুলতলায় বদলি করা হয়। এরপর থেকে আসমার সঙ্গে শাকিলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রোববার শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে আসমা, তার ছয় বছরের ছেলে রবিন ও শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে এসআই সৌমেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে আসমা তার সন্তানকে নিয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাস্টমস মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে বিকাশ এজেন্ট শাকিলও সেখানে যান। এক পর্যায়ে এএসআই সৌমেন সেখানে হাজির হন। তিনজনের কথা বলার এক পর্যায়ে সৌমেন আসমার মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। পরে শাকিলকে গুলি করার সময় পাশে থাকা আসমার ছেলে রবিন দৌঁড়ে পাশের একটি মসজিদের দিকে যেতে থাকে। সৌমেন তাকে ধরে এনে গুলি করলে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

পরে সেখানে উপস্থিত জনতা সৌমেনকে আটক করতে ধাওয়া করে। তখন তিনি পাশের মার্কেটের উপরে উঠে যান। সেখানে জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এদিকে ফুলতলা থানা পুলিশ জানিয়েছে, খুলনার ফুলতলা থানার এসআই সৌমেন কুমার রায় ছুটি না নিয়েই কর্মস্থল ত্যাগ করেছিলেন। শনিবার রাতে এসআই সৌমেন ফুলতলা থানায় উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছুটি না নিয়ে এবং থানার কাউকে কিছু না জানিয়ে রোববার ভোরে কুষ্টিয়ায় চলে যান। তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপের পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল- ওআই





চরফ্যাশনে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানবন্ধনের দাওয়াতি লিফলেট বিতরণ

চরফ্যাশনে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানবন্ধনের দাওয়াতি লিফলেট বিতরণ

ভোলায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে পাবলিক টয়লেট ও ঘাটলা নির্মাণ জন্য স্মারক লিপি প্রদান

ভোলায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে পাবলিক টয়লেট ও ঘাটলা নির্মাণ জন্য স্মারক লিপি প্রদান

চরফ্যাশনে মেছো বিড়াল উদ্ধার

চরফ্যাশনে মেছো বিড়াল উদ্ধার

চরফ্যাসনে বেড়ি বাঁধে গভীর রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে ইউএনও মিথি

চরফ্যাসনে বেড়ি বাঁধে গভীর রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে ইউএনও মিথি

লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি : ভোলায় সারজিস আলম

লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি : ভোলায় সারজিস আলম

আমরা একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়বো : সারজিস আলম

আমরা একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়বো : সারজিস আলম

লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলা থেকে শর্টগান উদ্ধার

লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলা থেকে শর্টগান উদ্ধার

দৌলতখানে ছাত্রদলের মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক র‍্যালি ও আলোচনা সভা

দৌলতখানে ছাত্রদলের মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ভোলায় বাবা-ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘটনা আড়াল করতে নিজ ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ

ভোলায় বাবা-ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘটনা আড়াল করতে নিজ ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

আরও...