অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় ১০১টি অসহায় পরিবার পেয়েছেন দূর্যোগ সহনীয় গৃহ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:১৫

remove_red_eye

৪৫৫

হাসনাইন আহমেদ মুন্না || ভোলায় ১০১টি অসহায় পরিবার দূর্যোগ সহনীয় গৃহ পেয়েছেন। যাদের জমি আছে ঘর নেই এমন ১’শ ১টি দরিদ্র পরিবারকে সরকারিভাবে এসব গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে ব্যয়ে প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ৩’শ স্কায়ার ফিট জমির উপর নির্মিত এসব ঘর ২ কক্ষ বিশিষ্ট। সামনে খোলা বারান্দা থাকছে। এছাড়া পিছনে লবিসহ বাথরুম, টয়লেট ও রান্নাঘরের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে গৃহহীনদের এসব ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এবি এম আকরাম হোসেন বলেন, আমাদের সমাজে অনেক অসচ্ছল ও অসহায় পরিবার আছে, যাদের সামান্য জমি থাকলেও ভালো গৃহ নির্মাণের সামর্থ নেই। সেইসব পরিবারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী উদ্যেগ নিয়ে এসব ঘর করে দিয়েছেন। প্রতিটি ঘরের সামনের দিকে ১০ ফিট করে ২টি কক্ষ রয়েছে। চারদিকে পাকা ওয়াল এবং উপরে সবুজ রঙের টিন রয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও পরবর্তিতে সময় বাড়িয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব ঘর দূর্যোগে প্রচন্ড সহনশীল। ২২০ কিলোমিটার বেগে বতাশের মধ্যে এসব ঘর টিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমে গিয়ে জান-মাল রক্ষা পাবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর যেই উদ্যেগ কেউ গৃহহীন থাকবেনা, সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ গড়িব মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। একইসাথে গৃহ প্রাপ্তীর ফলে সমাজের অবহেলিত এসব মানুষের সামাজিক মর্জাদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার মোট ১০১ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় নির্মিত হয়েছে ২৩টি, বোরহানউদ্দিনে ১৩টি, দৌলতখানে ১৪টি, লালমোহনে ১২টি, তজুমোদ্দিনে ১০টি, চরফ্যাশনে ১৪টি ও মনপুরায় ১৫টি ঘর রয়েছে।
সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হর্নি কোড়ালীয়া গ্রামের বাসিন্দা তফুরা খাতুন (৭০)। গত ১৪ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর অসুস্থ্যতার সময় অধিকাংশ সম্পতিই বিক্রি করেছেন। গৃহহীন অসহায় বিধবা এই নারী সেই থেকে ছেলেদের সংসারে থাকছেন। এবার সরকারিভাবে উন্নত ঘর পেয়েছেন। তিনি প্রচন্ড খুশি।
তফুরা বাসস’কে বলেন, বহু আগেই স্বামীর রেখে যাওয়া ঘর ভেঙ্গে গেছে। ঘর আর মেরামত করার সামর্থ ছিলোনা। এতদিন ছেলেদের সংসারে থেকেছেন। এখন ঘর পেয়ে ছেলে, ছেলেদের বৌ ও নাতী-নাতনীদের কাছে তার মর্জাদাও বেড়েছে। এজন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিাকে ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মহমুদুর রহমান জানান, দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি। কারণ ভোলা উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায় সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়। আর দূর্যোগে এসব ঘর খুবই কাজে লাগবে। ভবিশ্যতে এই জেলায় দূর্যোগ সহনীয় আরো গৃহ নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।