অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে দারিদ্রতা জয় করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ইশাদ


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ই এপ্রিল ২০২১ রাত ১০:১১

remove_red_eye

৬১৮


মোঃ জসিম জনি/ অন্তর , লালমোহন : দারিদ্রতা জয় করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ইশাদ ইসলাম। বাবা একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সন্তানের পড়ার খরচের জন্য রাতের বেলাও কাজ করতেন। নিজের মাথায় করে স্কুলের বেঞ্চ টানতেন তিনি। ভোলার লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইশাদের বাবা ইকবাল হোসেন। এ বছর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে কলেজে এমবিবিএসে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ইশাদ। লালমোহন পৌরসভার নয়ানিগ্রাম তাদের বাড়ি। ৩ মেয়ে ও এক ছেলে ইকবাল হোসেনের। সন্তানদের কখনও অভাব বুঝতে দেননি তিনি। সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী তা বুঝতে পেরে ইকবাল হোসেন ধার দেনা করেও পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। বড় মেয়ে ইশরাত জাহান ভোলা সরকারি কলেজে অনার্স পড়ে। মেঝ মেয়ে আবিবারা এশা এবার এসএসসি দিবে। ছোট মেয়ে মহুয়া আক্তার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ইশাদ লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি ও ২০২০ সালে ভোলা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। ইশাদ জীবনের কোন পরীক্ষায় ফেল করেনি। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি প্রতিটি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পায় সে। পাশাপাশি পায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি।
ইশাদ জানান, লক্ষ্য ছিল মেডিকেলে পড়ব। একজন চিকিৎসক হব। আমার বাবা মা অনেক কষ্ট করে আমার পড়ার খরচ চালিয়েছেন। তাদের অনেক আশা ছিল আমাকে নিয়ে। তাই আমিও চেষ্টা করতাম। তাদের অর্থ যেন বিফলে না যায়। ঘুম, খাওয়া-দাওয়া এবং নামাজ ছাড়া দিনের বাকী সময়টুকু পড়ালেখার পেছনে ব্যায় করতাম। লকডাউনের পুরো এক বছর বাসায় পড়তাম। এইচএসসিতে অটো পাস দেওয়ায় নিজের কাছে ভালো লাগলো না। তখন নিজেকে আরও বেশি প্রমান করতে পড়ালেখার গতি আরও বাড়িয়ে দিলাম। যাতে কেউ অটোপাস নিয়ে কথা বলতে না পারে।
ইশাদের বাবা ইকবাল হোসেন জানান, আমি সামান্য একজন কর্মচারী। স্কুলে গেলে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। আমি চাই আমার ছেলেমেয়েরাও যেন দাঁড়িয়ে না থাকে। তারা নিজেদের যোগ্যতায় যোগ্যতম স্থানে বসে। আমি ইশাদের স্কুলে যাওয়ার সময় তার ব্যাগ কাঁধে করে বহন করতাম। ব্যাগের বইয়ের ওজন যেন তার কষ্ট না হয়। মাঝে মধ্যে অসুস্থ হলে বা ঝড়বৃষ্টি এলে ইশাদকে স্কুলে যেতে বারন করতাম। কিন্তু সে শুনত না। একদিন স্কুলে যেতে না পারলে সে কান্নাকাটি করত। আমার সন্তানদের পড়ার খরচের জন্য রাতের বেলাও স্কুলের কাজ করেছি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি,  জমিও বিক্রি করেছি। তবুও ওদের পড়ার খরচের অভাব বুঝতে দেইনি। ওদের সর্বোচ্চ পড়ালেখার জন্য প্রয়োজনে আমি সব জমি বিক্রি করে দিয়ে হলেও ওদের স্বপ্ন পুরন করব।    
ইশাদের মা জেসমিন একজন গৃহিনী। তিনি জানান, গভীর রাত পর্যন্ত ও পড়ালেখা করত। আমি ওকে ঘুমাতে বললে ও বলত ‘তোমাদের কষ্ট যেদিন স্বার্থক হবে সেদিন আমি ঘুমাব’।
ইশাদ নিজের সফলতার পিছনে বাবা মায়ের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অনুপ্রেরণা রয়েছে বলে জানান। ইশাদ পরিপূর্ণ চিকিৎসক হতে পারলে গরীব ও অসহায় মানুষের সেবা করবেন। যাদের টাকা নেই তাদের ফ্রি চিকিৎসার পরিকল্পনা রয়েছে তার। পরবর্তী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে ইশাদ বলেন, সবসময় সফলদের অনুসরন করা উচিত। লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া যাবে। এই লক্ষ্যটাই একদিন জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।





তারেক রহমান দুটি আসনে নির্বাচন করছেন, ঢাকা–১৭ ছেড়ে ভোলায় যাচ্ছেন আন্দালিভ পার্থ

তারেক রহমান দুটি আসনে নির্বাচন করছেন, ঢাকা–১৭ ছেড়ে ভোলায় যাচ্ছেন আন্দালিভ পার্থ

ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ

ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ

সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ হোসেন

সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ হোসেন

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘ভোটের গাড়ি’

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘ভোটের গাড়ি’

ভোলা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে লালমোহনে আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ

ভোলা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে লালমোহনে আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ

ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন

ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন

আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান

আরও...