অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪ | ৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলার সঙ্গীত গুরু দক্ষিণা মজুমদারের ২৪তম মৃত্যু বার্ষিকী 


অচিন্ত্য মজুমদার

প্রকাশিত: ৫ই মার্চ ২০২১ দুপুর ০১:৪৪

remove_red_eye

৪১২

অচিন্ত্য মজুমদার : ভোলার বিশিষ্ট সঙ্গীত গুরু এ্যাডভোকেট দক্ষিণা রঞ্জন মজুমদারের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৫ মার্চ)। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষক, আইনজীবী, সংগঠক, গায়ক, সঙ্গীতগুরু ও গীতিকার। 

 

জন্ম ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুগোলকপুর হলেও দক্ষিণা রঞ্জন মজুমদারের স্কুল জীবন কাটে ভোলা শহরে। এরপর তিনি উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ছাত্র সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্র অবস্থায় তিনি ভোলার শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হন। বিশেষ করে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তার দক্ষতা প্রকাশ পায়। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভোলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করতেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ না করে চলে আসলেও পরে তিনি ভোলা সরকারি কলেজ থেকে কমার্স বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে নব্বইয়ের দশকে আইন পেশায় যুক্ত হন। এর আগে তিনি ভোলা টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (বাংলা স্কুল) শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। শিক্ষক হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম ছিল। এছাড়া তিনি ভোলা শিল্পকলা একাডেমীর যুগ্ম-সম্পাদক ও স্বরলিপি সংসদের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও দ্বীপাঞ্চল সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি এসময় ভোলার অন্যতম একজন সঙ্গীত গুরু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। 

 

এরপর আবার নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাংস্কৃতিকর্মীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি একজন সঙ্গীত শিল্পী ও আইনজীবী হিসেবে বেশ সুনামের সহিত দিন অতিবাহিত করেন। 

 

আজীবন সাংস্কৃতিমনা এই মানুষটি তার মেয়ে ইলা মজুমদার ও অনামিকা মজুমদারকে সঙ্গীত শিল্পী এবং ছেলে ভাস্কর মজুমদার কে একজন দক্ষ তবলা বাদক হিসেবে গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে তারা ভোলার শিল্পাঙ্গনে যুক্ত হয়। 

 

মেয়ে অনামিকা মজুমদার বরিশাল বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। এছাড়া সে জেলা শিল্পকলা একাডেমির উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রশিক্ষক ও জেলা শিশু একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমেরিকা পারি জমান। 

 

অপরদিকে ছেলে ভাস্কর মজুমদার জেলার অন্যতম তবলা বাদক হিসেবে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে কর্মের পাশাপাশি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির তবলা প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত আছেন।