চরফ্যাসন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত ১১:৪০
৫৬০
চরফ্যাসন প্রতিনিধি \ ভোলার চরফ্যাশনে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা তরান্বিতকরণ(এপিসি) প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু বিষয়ের কারন,প্রভাব ও প্রতিকারের উপায় বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ ফেব্রæয়ারী) সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদিন আখন। সভায় বাল্য বিয়ে নিয়ে কোস্ট ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত গবেষণার তথ্য সমূহ উপস্থাপন করেন গবেষক ইকবাল উদ্দিন। চরফ্যাশন উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এর সভাপত্বিতে কোস্ট ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক রাশিদা বেগমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকলিমা বেগম লিলি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মামুন হোসেন ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্ট এপিসি প্রকল্পের প্রকল্প সম্মনয়কারী মো: মিজানুর রহমান। ইউনিসেফ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর সহযোগিতায় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট এর কিশোর-কিশোরীদের দÍগতা,শিশু বিবাহ রোধে,জীবন দÍগতা রোধে কাজ করে আসছে এই এপিসি প্রকল্পটি। এসময় কোস্ট ট্রাস্ট্রের বাল্য বিয়ে নিয়ে গবেষণায় মেয়েদের নিরাপত্তা হীনতা কেবল বাল্য বিয়ের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করাহয়।
গবেষণায় জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। উত্তরদাতাদের মধ্যে নারী ছিলেন ৫৭.১% এবং পুরুষ ৪২.৯%। কেন ভোলায় বাল্য বিয়ের হার বেশি এবং জীবনে এর প্রভাব জানতে কোস্ট ট্রাস্ট (২৫ অক্টোবর-৩১ ডিসেম্বর ২০২০) এই গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা যায়,বাল্য বিয়ের প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা কে দায়ী বলে মনে করেন ৬৩.৬% উত্তরদাতা। এর সাথে নিরাপত্তা জনিত কারণও জড়িত বলে জানান ৪১.৬%। এছাড়া ছেলে-মেয়েরা যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে তাই পারিবারিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া হয় বলে মত দেন৪১%। ভালো পাত্র পেলেবিয়ে দেয়া হয় বলে মনে করেন ৪৭.৮%। অসচেতনতার কথা বলেছেন ৪৪.৯% এবং দারিদ্রতা এর কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ৫০.৯% উত্তরদাতা। গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩৭.৮% উত্তরদাতরই ধারণা নেই ১৮ বছর বয়স পর্যšত্ম শিশু আর ১৫-১৭ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ে হওয়াকে অনেকই শিশু বিয়ে বলে মানতে নারাজ। তাছাড়া শিশু বিয়ে দিলেও পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজন প্রকাশ্যে সেটি স্বীকার করতে চান না। বাল্য বিয়ে বৃদ্ধির Íেগত্রে করোনার প্রভাব আছে বলেছেন ২১.৭%, নাই বলেছেন ৩৯.৫% এবং জানি না বলেছেন ৩৮.৭% উত্তরদাতা।দরিদ্র পরিবারগুলোতে বাল্য বিয়ের হার বেশি বলে মত দিয়েছেন ৭৬.৪% উত্তরদাতা। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেশি বলেছেন ২৯.১% এবং ধনী পরিবারে বেশি বলেছেন২.৩% উত্তরদাতা। আর শিক্ষার ধাপ বিবেচনায় দেখা গেছে ৫ম শ্রেণি শেষ করার পর মেয়ে শিশুদের বিয়ে হয়ে যায় বলেছেন ১৯.১% উত্তরদাতা। ৮ম শ্রেণি শেষ করার পর হয় বলেছেন ৬৭.৩%।মাধ্যমিক শেষ করার পর হয় বলেছেন ১০% এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর হয় বলেছেন ১.৩%। বিয়ের Íেগত্রে অধিকাংশ মানুষই যৌতুক দেয়/নেয় বলে মত দিয়েছেন ৬০% উত্তরদাতা। এলাকায় বাল্য বিয়ে হলে তা প্রতিরোধ করেন বলে জানিয়েছেন ২৭.৯% উত্তরদাতা, করেন না বলেছেন ৪১%,কখনও কখনও করেন বলেছেন ২৪.৩% এবং অন্য করেন যেমন পুলিশ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটির লোকজন ইত্যাদি বলেছেন ৬.৮%। এছাড়া স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা শিশুবিয়ে প্রতিরোধে ভালো ভূমিকা রাখেন বলেছেন ২৫.৯%, মাঝে মাঝে ভূমিকা রাখেন বলেছেন ৪০.৮%,কোন ভূমিকা রাখেন না বলেছেন ১৩.৪% এবং তারা ভোটের হিসেব করেন বলেছেন ৮.৯% উত্তরদাতা। এছাড়া শিশুবিয়ে বন্ধে সরকারি হট লাইন নাম্বারের কথাও জানেন না বলেছেন ৫৪.৫% উত্তরদাতা। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি গুর¤œত্বারোপ করে আরো কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সেগুলো হলো : ইউনিয়ন পরিষদকে বাল্য বিয়ে বন্ধে আরো সক্রিয় করা, গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠন করা । মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। করোনাকালীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যালয় গুলো সীমিত আকারে খুলে দেয়া। মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে মাধ্যমিক স্থরে ৮০% মেয়েকে উপবৃত্তির আওতায় আনা। উপবৃত্তির অর্থ খুব সামান্য, এটি বৃদ্ধি করা। নারীর অর্থনৈতিক Íগমতায়নের পথ সৃষ্টি করা। ভূয়া জন্ম নিবন্ধন রোধ করা। এলাকায় বাল্য বিয়ে বন্ধে কাজী, ইমাম, পুরোহিতদের সাথে প্রশাসনের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলারা কথা জানান হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, মোঃ সিরাজ উদ্দীন, মোঃ জামাল উদ্দীন, আশরাফুল আলম, আব্দুস সালাম হাওলাদার, মোঃ হোসেন মিয়া। আরো ছিলেন খালেদা বেগম, মোঃ মনির হোসেন, জামাল উদ্দীন, মিনহাজুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, সিপু ফরাজি, সামছুন্নাহার ¯িœগ্ধা প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন, কাজী-ইমামদের সচেতনতাই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে পারে। কাজীর নমিনিদের মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা বন্ধ করতে আহবান জানান।
বাল্য বিয়ের শিকার নারীরা ঠিক মতো সংসার সামলাতে পারে না। তাই অনেক সময় তাদের প্রতি নির্যাতন হয়। বাল্য বিয়ে বন্ধ হলে নারীর প্রতি নির্যাতনের হার অনেক কমে যাবে। বাল্য বিয়ে বন্ধে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করতে হবে এবং স্কুল গুলোতে মেয়েদের নিয়ে সচেতনতা সভা করতে হবে। রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন বাল ̈বিয়ের শিকার নারীদের উপর নির্যাতনের কারণে অধিকাংশ মামলা হয়। বাল্য বিয়ে বন্ধ হলে এ মামলার হার কমে যাবে।
তারেক রহমান দুটি আসনে নির্বাচন করছেন, ঢাকা–১৭ ছেড়ে ভোলায় যাচ্ছেন আন্দালিভ পার্থ
ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ
সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ হোসেন
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘ভোটের গাড়ি’
ভোলা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে লালমোহনে আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ
ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন
আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক