অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় ধর্মীয় অপতৎপরাতা বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:৫৩

remove_red_eye

৫৭১

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : তথা কথিত আহলে হাদিস তথা লা মাজহাবি-সালাফি মতবাদ প্রচারের নামে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটি ভোলা জেলা শাখা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক মাওলানা তাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে আমরা শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে যাচ্ছি। সম্প্রতি তথাকথিত আহলে হাদিস তথা লা-মাজহাবী ও সালাফী অনুসারীরা সামাজিক শৃঙ্খলা এবং মুসলিম ঐক্য বিনষ্টের জন্য ধর্মীয় বিরোধ সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আর ইসলামের নাম দিয়ে যারা ধর্মীয় বিভেদ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, এই লা-মাজহাবীদের এক অনুসারী ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বাবুল আহলে হাদিস তথা লা মাজহাবি-সালাফি মতবাদ প্রচারের নামে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সে এলাকায় মানুষের মাঝে আহলে হাদিস নামে ধর্মীয় বিষয়ে বিভেদ সৃষ্টি করছে। এমনকি কামরুল আহলে হাদিস কমপ্লেক্স নামে একটি আস্তানা তৈরির চেষ্টা করছে। সেখান থেকে সে রমজান মাসে ইফতারের আধা ঘন্টা আগে আযান ও বিকেল তিনটার সময় আসরের আযান প্রচার করে থাকে। যার ফলে এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ তার সে আস্তানাটি ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে কামরুল এলাকার ১৯ জন নিরহ মুসল্লীর নামে একটি মিথ্যা মামলা দেয়। এমনটি যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা যে কালেমা পড়ে আসছে সে কালেমা নাকি শেরেকী কালিমা বলেও অপপ্রচার চালাচ্ছে কামরুল। এটি নিয়ে ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন বিশৃঙ্খলা চলে আসছে। বিষয়গুলি নিয়ে ভোলার আলেম সমাজ বেশ কয়েকবার প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। কিন্তু কামরুলে এ অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লিদের মাঝে মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই আমরা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে কামরুল ইসলাম বাবুল কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটির সভাপতি মাওলানা বশির উদ্দিন ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, সমাজ কল্যান সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম প্রমূখ। অপর দিকে আহলে হাদিস সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম জানান, তারা ইসলাম ধর্মের সকল অনুশাসন মেনে চলছেন । তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রমজান মাসে ইফতারের আধা ঘন্টা আগে আযান ও বিকেল তিনটার সময় আসরের আযান প্রচারের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। তাদের বিরুদ্ধে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটির অভিযোগ সত্য নয় বলেও তিনি দাবী করেন। মূলত কামরুল তার প্রতিবেশী জাকির নামে এক ব্যক্তি কাছে ৫ লাখ টাকা পান। ওই টাকা চাওয়ায় জাকিরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আহলে হাদিসের মসজিদে হামলা করে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা নিরাপত্তা কামনা করে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।