অচিন্ত্য মজুমদার
প্রকাশিত: ১০ই জানুয়ারী ২০২১ রাত ০৯:১৬
৮২
অচিন্ত্য মজুমদার: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১০ জানুয়ারি চিরস্মরণীয় ও অন্যন্য ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের পরিপূর্ণতা অর্জন করে। ১৬ ডিসেম্বর আমরা হানাদারমুক্ত হই, কিন্তু আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে পারি নাই। যেদিন বঙ্গবন্ধুর ফিরে এলেন, সেদিন আমদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিলো।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ভোলার সরকারি স্কুল মাঠে আয়োজিত বিশাল এক সমাবেশে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করেছিলেন পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদেরকেই হতে হবে। সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে জাতির পিতা প্রথমে ছাত্রলীগ তারপর আওয়ামী লীগ তারপর মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার বিজ রোপণ করে ধীরে ধীরে ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সমস্ত বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি প্রথমে নিজেকে, তারপর তার দল আওয়ামী লীগকে, তারপর বাংলার মানুষকে এক কাতারে এনে তাদেরকে তৈরি করেছিলেন।
১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুকে আগারতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে একটি মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। এক পাশে ফাঁসির মঞ্চ আরেক পাশে ছিলো প্রধানমন্ত্রীর গদি। বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর গদি ত্যাগ করে ফাঁসির মঞ্চ বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে ১১ দফা কর্মসূচি রচনা করে ১৭ জানুয়ারি যে আন্দোলন সূত্র করেছিলাম, তাতে ২০ জানুয়ারি আসাদ শহীদ হলো। ২৪ জানুয়ারি মতিউর, মকবুল, রুস্তম ও আলমগীরের রক্তের মধ্য দিয়ে ৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান হলো। সেই গণঅভ্যূত্থানে আইয়ুব খানের পতন হলো। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী কারফিউ জারি করে আমাদের এ আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু আমরা কারফিউ ভঙ্গ করে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর বাধ্য হয়ে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আরও বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি আমার জীবনের প্রথম জনসভায় আমি স্লোগান তুলেছিলাম, শপথ নিলাম মাগো তোমায় মুক্ত করবো, শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করবো। ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির পর ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের আগে আমি আমার বক্তব্যে বলেছিলাম 'প্রিয় নেতা কারাগারের অন্ধকার প্রকষ্ঠে বসে তুমি বাংলার মানুষের ছবি তুমি হৃদয় দিয়ে অঙ্কন করেছো। প্রিয় নেতা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তুমি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছো। তোমার কাছে বাঙালি জাতি ঋণী। এই ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না।'
বঙ্গবন্ধুর এ রাজনৈতিক সচিব আরো বলেন, দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল এক অবিস্মরণীয় ক্ষণ, অভূতপূর্ব মুহূর্ত। মুক্ত দেশের উচ্ছ্বাস নাগরিকদের দেখে সেদিন বঙ্গবন্ধুর চোখে বিজয়ী বীরের পরিতৃপ্তির হাসি ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ২৮ দিনের মাথায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ভোরে লন্ডনে পৌঁছান। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি রাজকীয় বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দিল্লিতে সামান্য যাত্রা বিরতি করে ১০ জানুয়ারি দুপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু। যাত্রা বিরতিকালে দিল্লিতে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবকে। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ভারতের সরকার ও জনগণের কাছে তাদের অকৃত্রিম সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু ঢাকায় এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা বর্ণনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হলেও বঙ্গবন্ধু কোথায় আছেন, কেমন আছেন আমরা জানতাম না। ৮ জানুয়ারি আমরা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির খবর পাই।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তোফায়েল আহমেদ আবেগআপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমৃত্যু ভোলার মানুষের পাশে থাকর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে ভোলার সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোলার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশস্থলে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রায় অর্ধলক্ষাধীক দলীয় নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হন। মুহূর্তের মধ্যে সরকারি স্কুলের বিশাল মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বাদ্য বাজিয়ে মিছিল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
তজুমদ্দিনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
ভোলা জেলা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৮ জেলে আটক, ২১ জনের কারাদন্ড
চরফ্যাশনে ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উচ্ছেদ অভিযান
প্রথম ধাপে ইউপি নির্বাচন মনপুরায় দুই ইউনিয়নে নৌকা পেতে মরিয়া আ’লীগের দশ প্রার্থী
লালমোহনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
ভোলা হবে ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে মুক্ত ----- জেলা প্রশাসক
ভোলা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন
যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির হৃদয়ের মনিকোঠায় থাকবে : তোফায়েল আহমেদ
বোরহানউদ্দিনে ১ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত
ভোলায় বাল্যবিয়ে কথা বলে চাঁদাদাবী : আটক হলো ২ কথিত সাংবাদিক
ভোলায় হাসপাতালের টেকনিশিয়ানসহ আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত