অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


আন্তজার্তিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে ভোলায় র‌্যালী আলোচনা সভা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১লা অক্টোবর ২০১৯ রাত ১০:১৩

remove_red_eye

৭৩৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ভোলা জেলা প্রশাসন ও সমাজকল্যান সংস্থা সমূহ- প্রবীন হিতৈষী সংঘ এবং সমাজকল্যান বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, র‌্যালী, ক্রেষ্ট বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
প্রবীন হিতৈষী সংঘ ভোলার সভাপতি সাংবাদিক এম.এ তাহেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান । বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবির্ক মৃধা মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মহসিনুল কবির, ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, ভোলা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভীন আক্তার, সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মালেক, শহর সমাজকল্যান প্রকল্প পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবা উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, আজকের ভোলা সম্পাদক আলহাজ্ব শওকত হোসেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবার সহকারী উপ-পরিচালক কাজি গোলাম কবির এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রবীণ প্রধান শিক্ষক আঃ খালেক রচিত একটি কবিতা পাঠ করেন শিশু পরিবারের সাবেক সহকারী সুপার ফিরোজ কবির। অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন পাঠ করেন সমাজসেবার সমাজ কর্মী আব্দুর রাজ্জাক । অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ প্রবীন হিতৈষী সংঘ ভোলার বিভিন্ন পর্যায়ে সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সমাজে প্রবীনদের সকলেই শ্রদ্ধা করা উচিত। প্রত্যেক ছেলে মেয়ে তার বাবা মা সহ প্রবীনদের আপন করে রেখে তাদের সেবাযত্ম করা বড়ই প্রয়োজন। বর্তমান সমাজে সন্তানগন তাদের বাবা মার প্রতি সেই মর্মতবোধ না থাকায় অনেক প্রবীনব্যক্তিরা সরকারি বৃদ্ধ্যা আশ্রমে থাকতে হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য অতিব দুঃখের। আমরা চাই বৃদ্ধা আশ্রমগুলো শূন্য থাকুক আর পরিবার পরিজনদের সাথে পারিপাশ্বিক সম্পর্ক অটুট থাকুক এ প্রত্যাশা সকলের প্রতি। তিনি বলেন কোনো সন্তান যদি বাবা মায়ের সেবাযতœ না করে তাদের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আমি যখন বাগেরহাটে ২০১৩ইং সালে চাকুরী করতাম তখন বাবা মা প্রতি অবিচার করায় একজনকে আমি শাস্তিও দিয়েছিলাম। প্রত্যেক সন্তানেরই বাবা মা বরণ পোষন সহ সেবা করা একান্ত প্রয়োজন। এরপর আলোচনা শুরুর আগে সকলকে নিয়ে একটি র‌্যালি শহর প্রদক্ষিন করে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসে শেষ হয়। আলোচনা সভার শেষে মমতাময় মা নুরজাহান বেগম এর সেবা করার জন্য সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলনকে ও মমতাময়ী বাবা এডভোকেট আব্দুল হক এর সেবা করার জন্য মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিন নান্নী কে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় এর পক্ষ থেকে ও প্রবীন হিতসী এর পক্ষ থেকে প্রবীন সেবা স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মামনা ক্রেষ্ট উপহার দিয়ে তুলে দেওয়া হয়।