হাসনাইন আহমেদ মুন্না
প্রকাশিত: ৯ই ডিসেম্বর ২০২০ রাত ১০:৩৬
৬৭
হাসনাইন আহমেদ মুন্না: ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় দ্বীপ জেলা ভোলা। সেদিন সকালে পাক বাহিনী ভোলা লঞ্চঘাট হয়ে কার্গো লঞ্চ যোগে পালিয়ে যায়। সকালে এ খবর পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভোলার রাজপথে নেমে আসে। ‘জয় বাংলা’ ‘তোমার নেতা, আমার নেতা’ ‘শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ ¯েøাগানে ¯েøাাগানে মুখোরিত করে চারপাশ। বিজয়ের উল্লাশে মেতে উঠে সবাই। ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। পাক হানাদারেরা নিশ্চিত পরাজয় টের পেয়ে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেস্টা করে মুক্তিকামী জনতা। এসময় তারা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে ভোলার পাক হানাদেরদের সকল সদস্য নিহত হয়।
ভোলা জেলা মুক্তিযেদ্ধো সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহামুদ,সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শফিকুলই ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭১-এ দেশ রক্ষায় সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, বাংলা স্কুল, টাউন স্কুল মাঠ ও ভোলা কলেজের মাঠের কিছু অংশে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয় ভোলার ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, বোরহানউদ্দিনের দেউলা ও চরফ্যাশন বাজারে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভোলা শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস চত্বর দখল করে পাক-হানাদার বাহিনী ক্যাম্প বসায়। সেখান থেকে চালায় নানান পৈচাশিক কর্মকান্ড। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী নিরীহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করা হয়। ওয়াপদা ভবনের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারের ধরে এনে হত্যা করে তেঁতুলিয়া নদীতে ফেলে দেয়া হত। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় তেঁতুলিয়ার পানি। এসব বদ্ধভূমি ও সম্মূখ মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের স্থান গুলোর মধ্যে ভোলার পাউবোর বদ্ধভূমি ও বাংলা বাজার সম্মুখ যুদ্ধের স্থানটি সংরক্ষন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান জানান, পাক বাহিনীর তাদের পরাজয় জেনে আগেই সটকে পরে । পালিয়ে যাবার সময় ভোলার খালে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। পাকসেনাদের পালাবার খবরে হাজার হাজার জনতা রাজপথে নেমে আসে বিজয় উল্লাসে। তিনি বলেন, পাকসেনারা পালিয়ে গেলে ওয়াপদা থেকে ৩০ জন বিরঙ্গণাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। সবার অংশগ্রহণে বিজয় র্যালী করি আমরা। এক অন্যরকম আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেদিন।এদিকে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে বাংলা বাজারে সিপিপি সেচ্ছাসেবকদের র্যালী
ভোলার রাজাপুরে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে ভোলায় প্রস্তুতি সভা
ভোলা পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ফুলের শুভেচ্ছা
ভোলায় গ্রাম আদালত বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা
ভোলায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ
চরফ্যাসনে সাংবাদিকদের কলম বিরতি
জনগণের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গের ঘোষণা দিলেন ভোলা পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান
চরফ্যাশনে নির্বাচন পরবর্তী হামলায় আহত-৪
ভোলা পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র মনিরুজ্জামানকে বিভিন্ন মহলের ফুলের শুভেচ্ছা অভিনন্দন
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত
ভোলায় বাল্যবিয়ে কথা বলে চাঁদাদাবী : আটক হলো ২ কথিত সাংবাদিক
ভোলায় হাসপাতালের টেকনিশিয়ানসহ আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত