অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


মুজিববর্ষের আহবান যুব কর্মসংস্থান


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১শে অক্টোবর ২০২০ রাত ১০:১৬

remove_red_eye

৯৬৮


 মো: আব্দুল কাদের  : সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমরা অর্জন করি আমাদের বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীনাতা। অগ্নিঝরা মার্চ  এর সেই দিনগুলি প্রতিটি বাঙ্গালীকে অনুপ্রানিত  করে নতুন করে শপথ নিয়ে দেশকে গড়ার, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির অগ্রযাত্রায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার। আজ সময় এসেছে লক্ষ শহীদের রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ রুপ দেওয়ার। সময় এসেছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। সেই সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রস্তুত আজকের যুব সমাজ ।
একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে যুব সমাজের ওপর। এদের আকাঙ্খা প্রবল। প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া। এই যুব সমাজকে এদের ইচ্ছা- আকাঙ্খার স্ফুরণ ঘটানোর সুযোগ জাতি হিসেবে যদি আমরা করে দিতে না পারি, তবে এটি হবে আমাদের মানবসম্পদ অপচয়ের শামিল। তাই যেকোনো জাতির জন্য একটি বড় কাজ হচ্ছে, এদের মেধা বিকাশের উপযুক্ত সুযোগ করে দেয়া। একটি সুন্দর ও গর্বিত দেশ উপহার দেয়ার জন্য দেশের মাটি যুব সমাজকেই চায় সবচেয়ে বেশি করে। তাই যুব সমাজের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে, নিজেদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত-প্রশিক্ষিত করে তোলা, যাতে এরা নিজেদেরকে যথাযোগ্য ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে। দেশের অর্থনীতিকে অব্যাহতভাবে সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর পর্যায়ে নিয়ে পৌঁছানোর জন্য নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। আর এ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে ঘোষনা ছিল এরুপ “ তারুন্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ” তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে এবং স্বাবলম্বী তরুণ সমাজ গঠন করতে ২০২১ সালের মধ্যে ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’, একটি দক্ষ ও কর্মঠ যুব সমাজ তৈরি করতে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘কর্মঠ প্রকল্প’ এবং প্রতি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে স্বল্প ও অদক্ষ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিবে আওয়ামী লীগ। কারণ একটি দেশের সামগ্রিক সাফল্য নির্ভর করে এই যুব সমাজ নিজেদের কতটুকু যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারল, তার ওপর।
দেশে বেকারত্বের বতর্মান অবস্থা --
 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গত বছরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার ২৩ লাখ ৭৭ হাজার এবং অশিক্ষিত বেকার তিন লাখ। বেকারদের মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত, যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস। উচ্চশিক্ষা পর্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করা বেকারের সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার। যদিও বাস্তবে বেকারের সংখ্যা আরো বেশি। ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৪০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ সমমানের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সংখ্যা সাত লাখ ১৪৮ জন। আর ১০৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উত্তীণে সংখ্যা ৬৮ হাজার ৭২৯ জন। মূলত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন প্রার্থীরা। সেই হিসাবে প্রতিবছর চাকরিতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করেন উচ্চশিক্ষিত প্রায় সাড়ে সাত লাখ প্রার্থী। চলতি বছর যদি সমসংখ্যক প্রার্থী চাকরিতে না ঢুকতে পারেন তাহলে বছর শেষে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণ।
এই বিপুল বেকার জনগোষ্টিকে সরকারী চাকুরী দেয়া সম্ভব নহে। কারন সরকারী যত পদ রয়েছে তার চেয়ে বেকারের সংখ্যা কয়েক গুন বেশী। বর্তমান অবস্থায় যদি সকল সরকারী চাকুরীজীবি যদি চাকুরী ছেড়ে বাড়ী চলে যায় তবুও সকল বেকার যুবদের চাকুরী প্রদান করা সম্ভব নহে। যার কারনে সবকার এই বেকার যুব শক্তিকে উন্নয়ন এবং উৎপাদনের মুল ধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষে সরকার প্রশিক্ষনের পাশাপাশি ঋন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে আতœকর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে ।
 যুবদের কর্মসংস্থানের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ সমূহ-
শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি-  স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগোপযোগী করতে কারিগরি শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অগ্রাধিকার পাবে। প্রতিটি উপজেলায় ‘যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি এই কেন্দ্রগুলোকে পর্যায়ক্রমে ‘তরুণ কর্মসংস্থান কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দুটি নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। ‘কর্মঠ প্রকল্প’-এর অধীনে “স্বল্প শিক্ষিত/স্বল্প দক্ষ/অদক্ষ” শ্রেণীর তরুণদের শ্রমঘন, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের উপোযোগী জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ‘সুদক্ষ প্রকল্প’-এর অধীনে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে তা দূর করতে নানামুখি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় পর্যায়ে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের তথ্য সম্বলিত একটি ইন্টিগ্রেটেড ডাটাবেইজ তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজন ও তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানাতে পারবে।
বেকারত্বের হার ২০২৩ সালে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং কর্মসংস্থানে কৃষি, শিল্প ও সেবার অংশ যথাক্রমে ৩০, ২৫ ও ৪৫ শতাংশে পরিবর্তন করা হবে। ২০২৩ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এছাড়া উক্ত সময়ে নতুন ভাবে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত হবে।
তরুণ যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা’ আওয়ামী লীগের দেয়া এই অঙ্গীকারে দেশের তরুণ সমাজে নতুন উদ্দীপনা জেগেছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতে চাকুরির বাজার খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ, আবার সুযোগ সংকীর্ণ। ফলে আত্ম কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটি খোলা আছে তাদের জন্য যারা উদ্যোগকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চায়। তাদের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ আর এ প্রশিক্ষণ প্রদানের বড় কাজটি করছে সরকারী প্রতিষ্ঠান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। পাশাপাশি টি,টি,সি , জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো , সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর ।
আত্মকর্মসংস্থান ও তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিঃ
তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা ও আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক এর মাধ্যমে বিনা জামানতে ও সহজ শর্তে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা ইতোমধ্যে প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা আরও বিস্তৃত করা হবে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা সম্ভাবনার ছাপ রাখতে সক্ষম হবে তাদের জন্য আর্থিক, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য প্রণয়ন করা হবে একটি যুগোপযোগী ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’।
 ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি -  বেকারত্বের করাল গ্রাসে পতিত যুবসমাজকে বের করে নিয়ে আসতে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের যে কাজ অগ্রগায়ণ করা হচ্ছে তার সাতটি পর্ব থেকে ইতিমধ্যে ৩৭ জেলার ১২৮টি উপজেলায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৮৫ জন যুবককে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে; যার ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৫০ জন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় নিযুক্ত হয়েছেন আর অস্থায়ী কর্ম শেষে তাদের ৮৩ হাজার ১৪ জন আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু যুব ঋন--- বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা ও আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক সরল সুদে ও সহজশর্তে জামানতবিহীন ঋণ ২.০০ লাখ টাকা থেকে ৫.০০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ দেশের বেকার যুবদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবদের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে 'বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ' নামে একটি নতুন ঋণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই নীতিমালার আওতায় ৯% সরল সুদে ২.০০ (দুই) লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবদের মধ্যে ২০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের বিশদ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।   


সম্ভবনার নতুন দিগন্ত ঃ
বেকারমুক্ত শিল্পনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৯০টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি জোনের ভূমি, কলকারখানা, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো নির্মাণের  কাজ চলছে পুরোদমে। ১২টি ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি অন্তত ২১টি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে উৎপাদনে রয়েছে। সেসব কারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এসব জোনে অন্তত ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশ পুরোপুরি বেকারমুক্ত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা)। জোনগুলোয় গড়ে ওঠা শিল্প বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ২০৪১ সালের আগেই সারা দেশে শিল্পবিপ্লব ঘটবে বলে মনে করে বেজা। এসব জোনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বেজার ধারণা, শুধু মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরেই অন্তত ৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
নতুন সহস্রাব্দে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রধান শ্রমশক্তি বলে মনে করা হচ্ছে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীকে। বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতিহারে আগামী ৫ বছরে ১কোটি ৫০ লক্ষ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান লক্ষ্য নির্ধারন করেছেন ।
  আই,টি খাত - - কর্মসংস্থানের বড় খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে আই, টি খাত দেশে সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা খাতে রপ্তানি ২০১৮ সালে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বেসিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারের বাজারও বড় হচ্ছে। দেশের বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই আবার দেশি সফটওয়্যার নির্মাতারা দখল করেছেন। দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি ব্যাংকেই দেশি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমাদের সফটওয়্যার ১৮০টি দেশে রপ্তানি হয়। আমাদের সফটওয়্যার আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ব্যবহার করে, সিকিউরিটির জন্য আমাদের সফটওয়্যার আছে, মোবাইল অপারেটররা ব্যবহার করছে। এটার গতি অতীতের সঙ্গে তুলনা করলে সম্ভাবনা এখন অনেক বেশি। দিন দিন প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে, এ কারণে ২০৩০ সালে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে আমাদের যুবরা আইটি খাতে অনেক সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে । একেবারে সংক্ষেপে যাদের কথা না বললে তারা হচ্ছে টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক , জনপ্রিয় ওয়েব সাইট সহ প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম , খান একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সহ অনেকে ।
আউটসোসিং/ফ্রিল্যানন্সিংঃ - বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাত গুলোর অন্যতম  ফ্রি ল্যানন্সিং । ঘরে বসে আয় করার সহজ রাস্তা, ইতোমধ্যে অনেক বেকার যুবক এই সেক্টরকে তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজের একটি বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। এন্টারপ্রেনার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান দুনিয়ায় ফ্রিল্যান্সিংকেও পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক গিগ অর্থনীতির সূচক প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ। সে কারণে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশের ঠিক ওপরে আছে ভারত। বাংলাদেশের পর ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রাশিয়া ও ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে সার্বিয়া। এ ক্ষেত্রে অনেকেই সফল হয়েছেন। যেহেতু এ খাতটি বড় হচ্ছে তাই  এখাতে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে ।
পর্যাটন খাত -  পর্যটন খাতের  তরুণদের কর্মসংস্থান দেশে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কর্মসংস্থান বাড়াতে পর্যটন খাতের বিকাশ অত্যন্ত জরুরি। একজন পর্যটকের আগমনে বিভিন্ন ভাবে ১১ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া পর্যটক আগমন মানেই দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হওয়া। এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, নয়নাভিরাম সবুজ পাহাড়, কুমিল্লার ময়নামতি সহ হাজারো প্রাচীন ঐতিহ্যে উজ্জ্বল দেশ বাংলাদেশ। পর্যটন খাতের  তরুণদের কর্মসংস্থান সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
ওষুধ শিল্পখাত -- ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশ আর ওষুধ আমদানিকারক দেশ নয়, রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক ওষুধ কোম্পানি উন্নত দেশগুলোর বিখ্যাত সনদ লাভ করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬০ দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। এই খাতের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত চার দশকে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অনুন্নত ৪৮ দেশের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষে। বাংলাদেশে একসময় বার্ষিক ৮০ শতাংশ ওষুধ বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হতো, সেখানে এখন আমদানি হয় মাত্র ৩ শতাংশ। ওষুধ শিল্পে  তরুণদের কর্মসংস্থান সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে ।
আধুনিক ধারার মৎস চাষ  :- মাছ চাষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুকুর, খাল বিল, জলাশয়, ডোবা নালা যা ছাড়া মাছ চাষ কল্পনা করা যায় না । প্রযুক্তির অগ্রগতির সংগে সংগে এখন পদ্ধতির ও পরিবর্তন হয়েছে। মাছ চাষের জন্য এখন আর পুকুর, খাল বিল, জলাশয়, ডোবা নালার প্রয়োজন হয় না । আধুনিক পদ্ধতিতে ঘরের ভিতর (রাস) এবং  বায়োফ্লকস পদ্ধতিতে মাছের  চায় করা হচ্ছে । জঅঝ (রাস) মূলত ঘরের ভিতরে ট্যাংকের মধ্যে অধিক ঘনত্বে এবং একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাছ উৎপাদন প্রক্রিয়া। যেখানে মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত জলাশয় বা পানি নেই, সেখানেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ খুবই লাভজনক কিন্তু এর প্রধান সমস্যা হল অধিক বিনিয়োগ। এই পদ্ধতিতে দেশী শিং, দেশী-বিদেশী মাগুর, পাবদা, টেংরা বা গুলশা, তেলাপিয়া, পাংগাস, চিংড়ি, ভেটকি ইত্যাদি নানা প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়। এই পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ পানিতে স্বাস্থ্য সম্মত মাছ চাষ করা হয়। এই পদ্ধতি যেখানে খাল বিল বা উন্মুক্ত জলাশয় নাই বিশেষ করে শহরের বেকার যুবকরা এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারে।
বর্তমানে দেশের এ বিপুল বেকার যুবদের সরকারী ভাবে চাকুরী প্রদান করা সম্ভব নহে কারন সরকারের বর্তমান পদের কয়েক গুন বেকার জনসংখ্যা রয়েছে। তাই বেসরকারী এবং ব্যক্তিখাতকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি প্রতিটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি তবে অচিরেই বাংলাদেশ মালেশিয়া বা সিংগাপুরের কাতারে সামিল হবে। তবেই না  বাস্তবায়ন হবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।  লেখক: উপ পরিচালক ,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,ভোলা ।









ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলায়  যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

ভোলায় যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

লালমোহনে সফল বরই চাষি

লালমোহনে সফল বরই চাষি

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

আরও...