অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলার লালমোহনে দুধের সাথে বিষ খাইয়ে সৎ মেয়েকে হত্যার চেষ্টা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:২৮

remove_red_eye

১৮৯৬



ওমর রায়হান অন্তর, লালমোহন : ভোলার লালমোহনে ৮ম শ্রেণী পড়–য়া স্কুল ছাত্রীকে দুধের সাথে বিষ খাইয়ে তার সৎ মা হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাকে লালমোহন হাসপাতালে আনলে অবস্থার অবনতি দেখে লালমোহন থানার ওসি ভোলা হাসপাতালে পাঠান। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিয়া নামের ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
রিয়া জানান, তার সৎ মা আসমা তাকে রোববার দুপুরে আদর করে এক গøাস দুধ এনে খেতে বলে। রিয়া সেই দুধ খায়। এরপর বিকেলের দিকে তার তার পেটে ব্যথা শুরু হয় ও মাথা ঝিমুনী দিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় রফিক বেপারী জানান, রিয়াকে সন্ধ্যার দিকে তার খালা ও বাবা গজারিয়া বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসে। তখন তার অবস্থা খারাপ দেখি। সেসময় রিয়া জানান, তার সৎ মা তার সাথে কথা বলতো না।  দুপুরের দিকে সৎ মা আসমা তাকে আদর করে এক গøাস দুধ খাওয়ায়। যে গøাসে দুধ খাওয়ানো হয়েছে সেই গøাসটি তাদের ঘরে আগে ছিল না। দুধ খাওয়ার পর থেকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে রিয়াকে দ্রæত লালমোহন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
রিয়ার বাবা সিরাজ গজারিয়া এলাকায় রিক্সা চালান। তিনি জানান, সারাদিন রিক্সা চালিয়ে বিকেলে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারি রিয়ার অসুস্থ্য হওয়ার কথা। সেসময় সবাই জানায় রিয়াকে তার সৎ মা বিষাক্ত দুধ খাইয়েছে। তিনি আরো জানান, আমি ঘরে দুধ রাখি না। আমার স্ত্রী দুধ কোথায় পেলো আমি জানিনা। রিয়ার মা রেণু গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রিয়াসহ ওই ঘরে তার আরো দুই ছেলে রয়েছে। এরপর প্রায় তিন চার মাস আগে আসমাকে বিয়ে করেন সিরাজ।
লালমোহন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ আব্দুল্লা আল মুর্শিদ জানান, রিয়াকে হাসপাতালে আনা হয় রাত ৮.৪০ মিনিটে। তার অবস্থা বেশি একটা ভালো ছিল না। তাকে যে কোন বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তাই তাকে ভোলা হাসপাতালে দ্রæত নেওয়ার জন্য বলি।
রিয়াকে ভোলা নেওয়ার জন্য খরচ না থাকায় লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ নিজ খরচে রাতেই রিয়াকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি জানান, রিয়ার চিকিৎসা হোক। তার সাথে একজন পুলিশ রয়েছে। রিয়ার সৎ মা আসমাকে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।