অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে পর্যটকদের ভীড় সুযোগ-সুবিধার অভাব


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুর ০২:৪৫

remove_red_eye

৮৩

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন থেকে : শীতকে ঘিরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশনে পর্যটকদের ভীড়। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের প্রকৃতি, নদী উপকূলের ঢেউ আর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, কুকরি-মুকরি সু-উচ্চ ওয়াচ টাওয়ার,কুকরি-মুকরি ফরেস্ট বাগান,নারকেল বাগান ও বীচ,সমুদ্র সৈকত তারুয়াসহ, ফ্যাশন স্কয়ারের পানির ফোয়ারা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানে এসে দৃষ্টি নন্দন খাস মহল জামে মসজিদ দেখেও মুগ্ধ হন পর্যটকরা। পাশাপাশি চরফ্যাশন ওয়াটস টাওয়ার (সাবেক নাম জ্যাকব টাওয়ার) এবং শিশুপার্ক, এসব পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। এলাকাটি পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় হলেও এখানে ঘাটতি রয়েছে পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা।
 স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরফ্যাশনের পর্যটন এলাগুলোতে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন দলবেঁধে বনভোজনে আসেন এই উপজেলায়। জানা গেছে, পর্যটকদের থাকার জন্য চরফ্যাশন শহরে একটি ডাকবাংলোর পাশাপাশি কিছু হোটেল রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,চরফ্যাশন শহরে অবস্থিত সু-উচ্চ ওয়াটস টাওয়ার ও শিশু পার্ক দেখতে আসা অগনিত পর্যটকদের জন্য নেই শৌচাগার। শৌচাগারের অভাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। যুবক বয়সী পর্যটকরা মানিয়ে নিতে পারলেও বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে  নারী ও শিশু কিশোর এবং বয়স্ক পর্যটকদের। 
স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল মোল্লা জানান,পর্যটক এলাকা হিসেবে এই উপজেলাটি পরিচিতি পেয়েছে অনেক আগেই। প্রতিদিনই এই অঞ্চলে শতশত ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা ঘুরতে আসেন কিন্তু ঘুরাঘুরি  শেষে প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়ার মতো কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষ করে পাব্লিক টয়লেট না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় পর্যটকদের। এই দুর্ভোগ লাঘবে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক নওরীন হক বলেন, কুকরি-মুকরি ভ্রমণ শেষে ওয়াটস টাওয়ারে ঘুরতে আসলাম কিন্তু টাওয়ার সংলগ্ন এরিয়াতে কোনো পাবলিক টয়লেট না পাওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখানে একটি ভালো মানের পাব্লিক টয়লেট প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও কুকরি-মুকরি পিকনিক কর্নারের বাগান এরিয়াতেও সংকট রয়েছে পাবলিক টয়লেট। বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক এলাকায় একটি পাবলিক টয়লেট থাকলেও সেটি রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়।
পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বনভোজনে এসে তাঁরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। পানি ও শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরনবী বলেন, পর্যটকদের জন্য গণ-শৌচাগার না থাকায় অনেকেই আমাদের অফিসের ওয়াশরুমে ব্যবহার করেন। মানবিক কারণে আমাদের একটি ওয়াশরুম তাদের ব্যবহার করতে দিচ্ছি। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে ফ্যাশন স্কয়ার সংলগ্ন এরিয়াতে একটি শৌচাগার নির্মাণে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসান বলেন, ‘পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। তবে ওয়াটস টাওয়ার এরিয়াতে জায়গা সংকুলান হওয়ায় সৌচাগার নির্মাণে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন,পর্যটন স্পটের জন্য গণ-শৌচাগারের প্রয়োজনিয়তা রয়েছে বলে আমিও অনুধাবন করেছি। একটি সুবিধাজনক স্থানে শৌচাগার নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


মোঃ ইয়ামিন