অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের প্রতিশ্রুতি সরকারের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২শে ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৪:৫৯

remove_red_eye

৬২

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের প্রতিশ্রুতি এবং বিচারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। 

আজ সোমবার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৮তম সভা এবং জকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে যৌথবাহিনী (পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি) গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ফয়সাল করিমের স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, মা ও বাবা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নান। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ ও ১টি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ বর্তমানে দেশে নাকি বিদেশে আছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সে দেশের মধ্যেই থাকতে পারে, আবার বাইরেও থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ফয়সালের বৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল করিম মাসুদকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং খুব দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার ও গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে এ বিষয়ে  বিস্তারিত জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি- এ বিষয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং তাকে (মূল হোতাকে) খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দালাল চক্র ফিলিপের সহযোগী পাঁচজনকে (স্ত্রী ও শ্বশুরসহ) আটক করে বিজিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি যৌথ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে মিডিয়াকে বিস্তারিত জানিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আগমন উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

খুলনায় এক এনসিপি নেতাকে গুলি করার ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার পরপরই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং হামলায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি- একইভাবে জকসু নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরাপদ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সক্ষম হবো।’

তিনি বলেন, বড়দিন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ পবিত্র উৎসব যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে- সে বিষয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, বড়দিন ও থার্টি-ফার্স্ট নাইটে কোনো প্রকার আতশবাজি করা যাবে না। রাস্তা অবরোধ বা ব্লকেড করে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। প্রতিটি গির্জার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  নগরীতে টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করেছে।