অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


আজ ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ই ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৩:০৫

remove_red_eye

৮৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক  : আজ ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় দ্বীপজেলা ভোলা। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম ও যুদ্ধের পর পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ভোলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ভোলা থেকে পালিয়ে যায়। ভোলাকে স্বাধীন করে ভোলার বীর সন্তানেরা। সকালে এ খবর পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভোলার রাজপথে নেমে আসে। স্লোগানে স্লোাগানে মুখোরিত হয় জেলার চারপাশ। বিজয়ের উল্লাশে মেতে উঠে সবাই।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে সেই সময়ে পাকিস্তানি হানাদাররা ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় ক্যাম্প বসায়। এখানেই মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হতো। পাশেই গণকবর দেয়া  হতো। যা আজকের ওয়াবদা বধ্যভূমি। এছাড়া সদরের খেয়াঘাট এলাকাতেও মানুষ হত্যা করে তেঁতুলিয়া নদীতে ভাসিয়ে দিতো তারা। আর ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, টাউন স্কুল মাঠ, আলীয়া মাদ্রাসার সামনের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিতো। টনির হাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, গুপ্তের বাজার ও গরুর চোখা এলাকায় হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীর ঘাটি ওয়াপদা ঘেরাও করে। মুক্তিযোদ্ধারা ভোলার অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যখন শহর নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুতি নেন। ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার খবর চারি দিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা। এসময় তারা গুলিবর্ষণ করতে-করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাকিস্তানি হানাদেরদের সব সদস্য নিহত হয়। সেই দিন ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ভোলা হানাদারমুক্ত হয়।
১০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার পর ভোলার লড়াকু সন্তানরা তখনকার ভোলা এসডিও অফিস বর্তমান জেলা হিসাব রক্ষন অফিসের ছাদে উঠে পাকিস্থানের পতকা পুড়িয়ে দিয়ে উড়িয়েছিল লাল সবুজে স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা। ভোলা শহরের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করে। এদিকে দিনটি স্মরণ রাখতে বুধবার  সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালিসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 


মোঃ ইয়ামিন