অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে প্রাথমিকের ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র, ক্ষোভ-সমালোচনা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ই ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ০৯:২২

remove_red_eye

৬৪

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলা লালমোহন উপজেলায় চলতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অসংখ্য ভুল পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা। প্রশ্নপত্রে বানান ভুল, বাক্য গঠনজনিত ভুল, অর্থগত অসংগতি ও নির্দেশনা বিভ্রাটসহ নানা অসঙ্গতি প্রকাশ পেয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্নেই ৬৫টি ভুল তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাকিব আহমেদ পরশ নামে একজন।
তিনি তার পোস্টে প্রকাশ করেন, ‘প্রশ্নের মধ্যে যদি এত ভুল হয়, তবে যোগ্যতার মাপকাঠি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তারা কি শুধুই বেতন নেয়? নাকি বসে বসে চা খায়?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি। ওই পোস্টের কমেন্টে ৩য় ও ৫ম শ্রেণির প্রশ্নেও ভুল আছে বলে প্রকাশ করেছেন অনেকে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক ৫ম শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্ন দেখিয়ে তাতেও অসংখ্য ভুল তুলে ধরেন।
জানা গেছে, লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহে আলম নিজ দায়িত্বে প্রশ্নপত্র ছাপানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি উপজেলা পর্যায়ের কোনো শিক্ষক বা প্রশ্নপত্র পর্যালোচনা কমিটিকে সম্পৃক্ত না করে বাইরে থেকে প্রশ্ন ছাপিয়ে আনেন। তিনি প্রশ্ন বিক্রিও করেন নিজ দায়িত্বে। ১ম থেকে ২য় শ্রেণির প্রশ্ন সেট নেন ৮টাকা, ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির প্রশ্নের সেট নেন ১২ টাকা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক পরীক্ষায় এ ধরনের অসংখ্য ভুল শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বুঝতে সমস্যা হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ, এমন দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে প্রশ্নপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাপানোর কারণে প্রশ্নের মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা শিক্ষারমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষার মতো সংবেদনশীল স্থানে অবহেলা কোনোভাবেই ঠিক না।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহে আলম জানান, প্রুফ না করায় ভুল হতে পারে। চলমান শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে প্রশ্ন দেখা হয়নি।


মোঃ ইয়ামিন লালমোহন