অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে দূরপাল্লার পণ্যবাহী পরিবহন আটকে দিল ছাত্রজনতা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:৩৩

remove_red_eye

৮৭

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবীতে ভোলার ওপর দিয়ে যাতায়াতকরা পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আকটে দিয়েছে ছাত্রজনতা।দূর পাল্লার এ সকল গাড়ী আকটে দেওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে ভোলার উপর দিয়ে অন্যান্য জেলায় যাতায়াতকারী পরিবহন ব্যবস্থা।

এ সময় দূরপাল্লার ট্রাক, পণ্যবাহী যানবাহন আটকে পড়ে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে সেতু নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রজনতা স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন পুরো এলাকা।
 আজ বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদরের পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বিশ্বরোড চত্বরে পূর্ব ঘোষিত করিডোর অবরোধ কর্মসূচিতে এ সকল গাড়ী আটকে দেওয়া হয়। 

আটকে পড়া ট্রাকের চালক মো. হোসাইন ও মো. বাবুল জানান, ট্রাকে কারখানার কাঁচামাল নিয়ে আমরা ভেদুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটে যাওয়ার জন্য এসেছি। এসে এখন আন্দোলনের মুখে পড়েছি, আন্দোলনকারীরা বলেছে এ রাস্তা বন্ধ, তাই ট্রাক নিয়ে বসে আছি। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পাড়লে কোম্পানি এবং আমাদের নিজেদের লোকসান হবে। কোম্পানি আমাদেরকে প্রতি ট্রিপে নির্দিষ্ট পরিমাণে রোড খরচ দেয়, এর বাহিরে দিবে না। বাকি রোড খরচ নিজেদেরকেই বহন করতে হবে। জানিনা কখন ট্রাক ছাড়বে।

আটকে পড়া অন্যান্য চালকরা বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলকারীরা আমাদেরকে আটকে দিয়েছে। এটি আামাদের জন্য ভোগান্তীর কারন। তবে আমরাও চাই ভোলা-বরিশাল সেতু হোক। এটি হলে আমাদের জন্যও ভালো হবে। ফেরিঘাটে আমাদেরকে ভোগান্তীতে পড়তে হবে না। আমরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবো।

অপরদিকে আন্দোলনকারী মো. শরীফ হাওলাদার বলেন, বাইরের জেলার যে সকল গাড়ী ভোলার উপর দিয়ে অন্য জেলায় যাতায়াত করে সেগুলোকে আমরা আটকে দিয়েছি। তবে ভোলাতে আসা-যাওয়া করা গাড়ীগুলো চলাচল করবে। এটি আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার আমাদের কর্মসূচি হলো ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ সাত উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি। দিন যতো যাবে সরকার যদি আমাদের সাথে না বসে তাহলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে।

আন্দোলনকারী মো. রাহিম ইসলাম বলেন,  ভোলার ২২ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রাখার কোনো অধিকার নেই। ভোলা বরিশাল সেতুর দাবীতে আমার শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। এর মধ্যে আমরা পায়ে হেঁটে ও নদীতে সাঁতার কেটে ১১ দিনে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা অভিমূখে লংমার্চ করেছি। ঢাকার শাহাবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও সমাবেশ করেছি। সেখান থেকে আমার ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ভোলায় এসেছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি। তাই আমার নতুন করে আবারও কর্মসূচি দিয়েছি। আমি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। 


মোঃ ইয়ামিন