অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে পথ থেকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের পর পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১লা ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯

remove_red_eye

১০২

ফখরে আজম পলাশ, তজুমদ্দিন থেকে: ভোলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাস্তা থেকে তুলে  নিয়ে রাতভর পিটিয়ে, পেরেক দিয়ে খুচিয়ে,  সবশেষে পায়ের রগ কেটে সেলিম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সেলিম ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের  ঘোষেরহাওলা গ্রামের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে। পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী সেলিম আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। দুই মাস আগে আনোয়ার, সিরাজ, রায়হানসহ একটি প্রভাবশালী মহল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে তাকে একালা ছাড়া করে। গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রাম থেকে তজুমদ্দিন আসেন। বাড়ি ফেরার পথে তাকে দুর্বৃত্তরা পথ থেকে তুলে নিয়ে যায়।  রাতভর নির্যাতনের পর গুরুতর অবস্থায় বাড়ির নিকটস্থ একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। রবিবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। 
রেখা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী মাসুমা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম ও পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার মুজাম্মেলের ছেলে আনোয়ার, সিরাজ, রায়হান, রশিদের ছেলে রহিম এবং বায়জিদ ও নিরব মিলে চুরির অপবাদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের স্বজনরা জানান, নিহত সেলিম চুরি করতে গেলে লোকজনের ধাওয়ার মুখে গণপিটুনিতে আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীম অবস্থায় সেলিম মারা যায়। 
ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, নিহত সেলিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তার দুই পায়ের রগ কাটা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত ও ক্ষত ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়।
তজুমদ্দিন থানার ওসি মহব্বত খান জানান, সেলিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মোঃ ইয়ামিন তজুমদ্দিন