অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দক্ষিনাঞ্চলের কিংবদন্তি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান আর নেই


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪শে নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:১৭

remove_red_eye

১১৪

অমিতাভ অপু : চলে গেলেন ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাংবাদিকতার কিংবদন্তিতুল্য ভোলা প্রেসক্লাবের ১৮ বার নির্বাচিত সভাপতি, ৮বার সম্পাদকসহ ৩৫ বছর দায়িত্বে থাকা দৈনিক বাংলার কন্ঠের সম্পাদক ও বাংলাদেশ বেতারের সাবেক জেলা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান। তিনি আর আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। সোমবার দুপুর ৩টায় রাজধানীর পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন, (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স কাগজে ৮১ হলেও প্রকৃত বয়স ছিল ৮৫ বছর। রোববার ভোরে হঠাৎ করে শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়ায় প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে পরে সড়ক পথে ঢাকায় নিয়ে বিকালেই পিজি হাসপাতালের সিসিইউ তে ভর্তি করা হয়। ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় গোর্কীর তান্ডব ও হানার পর নিশ্চিহ্ন জনপদের সংবাদ তার মাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয় তৎকালীন পূর্ব দেশ পত্রিকায়। কাঁদো বাঙালী কাঁদো, ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে লাশ’ ওই শিরো নামের সংবাদটি পিআইবি’তে আজও সংরক্ষিত রয়েছে।
এমভি সামিয়া লঞ্চ ডুবির নিউজ সর্ব প্রথম প্রকাশিত হওয়ায় তিনি রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পান। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে পাকহানাদের টর্চার সেলের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতা করে গেছেন। তিনি  স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহীদের রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানান, ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ( বিজেপি)’র সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারন সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম. ফারুকুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু তাহের, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক মোকতাদির বিল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক অমিতাভ অপু, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সামসুল আলম মিঠু, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট ড. আমিরুল ইসলাম বাসেত, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ওমর ফারুকসহ কর্মরত সাংবাদিকরা।
এম.হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালে ঢাকায় পূর্বদেশ পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে তার পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ভোলায় ফিওে এসে ওই পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। পরবর্তিতে দীর্ঘকাল বাংলাদেশ বেতারে সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তার সম্পাদনায় দৈনিক বাংলার কন্ঠ পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে। ২০২২ সালে তিনি ৭০ এর জলোচ্ছ্বাস ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ রিপোর্টিং এর জন্য বসুন্ধারা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পান। 


অমিতাভ অপু ভোলা সদর ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন