অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা পৌরসভার উপর বাড়ছে নাগরিক আস্থা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩শে নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:৪১

remove_red_eye

২০৮

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন পর ভোলা পৌরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। তারা পেতে শুরু করেছেন পৌরসভা থেকে দেওয়া বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ সুবিধা। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যানজট নিরসন, পয়নিষ্কাশন, ময়লা পরিষ্কার, পানি সর্বরাহ এবং ফুটপাথ দখলমুক্ত পরিবেশ।

এ ছাড়াও পৌরকর্তৃপক্ষের পরিকল্পনায় রয়েছে ভোলার খাল দখলমুক্ত করণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, রাস্তার উপর থেকে কাচাবাজার অপসারণ, সদর রোর্ডে যানবাহনের জন্য পার্কিং এর ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট স্থাপন, বন্ধ থাকা পানির পাম্পগুলো চালুকরণসহ  নগরের সৌন্দর্র্য বর্ধনমূলক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। পৌরকর্তৃপক্ষের এসব জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপে ধীরে ধীরে পৌরসভার উপর নগরবাসীর আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সাথে কথা বলেন পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: মিজানুর রহমান। 
তিনি জানান, নির্মাণের পর থেকে অদ্যাবধি ভোলা পৌরসভার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। ইতোমধ্যে পৌরকর্তৃপক্ষ ড্রেনগুলো পরিষ্কারের পাশাপাশি সংষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ভোলা পৌরসভার সকল ড্রেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। যাতে ময়লা আবর্জনা জমে থাকতে না পারে। মশামাছি জন্মাতে না পারে। পৌরবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে আরও বেশ কিছু এলাকায় নতুন নতুন ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সাধ্যের মধ্যে সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই প্রশোসক। 
ভোলা পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান জানিয়েছে, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় পৌরসভার স্টাফরা পাঁচমাসের বেতন বকেয়া ছিল। এটা তাকে বেশ মর্মাহত করেছে। বেতন না পাওয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংসার কীভাবে চলছে তা ভেবে তিনি অস্থির হয়ে ওঠেন। তাদের বকেয়া বেতন ভাতা কীভাবে পরিশোধ করা যায় তা নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি পৌরসভার অতিরিক্ত ব্যয় সংকোচন এবং পৌরটেক্সসহ পৌরবাসীর কাছ থেকে পাওনাদি কীভাবে দ্রুত উত্তোলন করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাতে সফলও হয়েছেন। এখন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর কোন বেতন বকেয়া নেই। সকলের মুখে হাসি ফুটেছে।  
পৌরপ্রশাসক মো: মিজানুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন শহরের যানজট নিরসনের উপর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে জেলা শহরের নতুন বাজার, বাংলাস্কুল মোড়, বরিশালের দালানের সামনে এবং কালিনাথ রায়ের বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্পটে দিনের বিশেষ বিশেষ সময়ে যানজট লেগে থাকতে দেখা যেত। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ফুটপাত দখল করে রাখা হত। কোথাও কোথাও রাস্তার উপর বসানো হত ভাসমান দোকানপাট। বিশেষ করে শহরের নতুন বাজার এলাকায় ভাসমান দোকানগুলো রাস্তার দুই পাশ দখল করে ফেলেছিল। সেই সাথে রিক্সার দখলে চলে গিয়েছিল গোটা রাস্তা। সম্প্রতি পৌরসভা থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধ ভাসমান দোকানপাট। পাশাপাশি রিক্সা, অটোরিক্সার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি পৌরসভার পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে আনসার ভিডিপির সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে।  সব কিছু দেখে পথচারী, রিক্সাচালকসহ সকলের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। বেড়েছে পৌরসভার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা। 


ভোলা সদর মোঃ ইয়ামিন