অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


পায়ে হেঁটে পদ্মা সেতু পার হওয়ার অনুমতি না মেলায় পদ্মা নদী সাঁতরে ঢাকা সেতু ভবন অভিমুখে ছাত্র যুবকদের লংমার্চ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে নভেম্বর ২০২৫ রাত ১১:০৭

remove_red_eye

৯৬

ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবী দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ  

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবিতে পায়ে হেঁটে শুরু হওয়া ভোলা থেকে ঢাকা সেতু ভবন অভিমুখে লং মার্চে অংশ নেওয়া ছাত্র ও যুবকরা নবম দিনে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এবার শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় গিয়ে পৌঁছেছে। তবে পায়ে হেঁটে পদ্মা সেতু পার হওয়ার অনুমতি না মেলায় খরস্রোতা পদ্মা নদী সাঁতরে পারি দিচ্ছেন তারা। এসময় নদীতে সাঁতার কাটার সময় মো.নোমান ও মো.তানজিল নামে দুই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এর আগে,মো.মাইনুউদ্দিন নামে আরেক জুলাই যোদ্ধা অসুস্থ হয়েছেন। 
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে যাওয়ার জন্য পদ্মা নদীতে সাঁতার শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে,ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ,ভোলার ঘরে ঘরে আবাসিক গ্যাস সংযোগ,গ্যাস ভিক্তিক শিল্প কল কারখানা স্থাপন,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
এদিকে লংমার্চ চলাকালে তাদের দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ার অভিযোগে গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের গাড়ির সামনে শুয়ে তাদেরকে অবরুদ্ধ রেখে প্রায় ২০ মিনিট বিক্ষোভ করেন ভোলার কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা।
জানা গেছে,গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারের সামনে থেকে প্রায় ২০জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় লংমার্চটি। এরপর তারা পায়ে হেঁটে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ওপর দিয়ে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাশ থেকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার তেঁতুলিয়া নদী সাঁতরে শ্রীপুর গিয়ে ওঠেন। সেখান থেকে ফের পায়ে হেঁটে কালাবদর ও কীর্তনখোলা নদী সাঁতরে বরিশালের ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে পদ্মাসেতু এলাকায় পৌঁছায়। লংমার্চটি ঢাকার সেতু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে এবং সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
লংমার্চে অংশ নেওয়া রাহিম ইসলাম বলেন,পদ্মা সেতু কতৃপক্ষ আমাদেরকে পায়ে হেঁটে সেতু অতিক্রমের অনুমতি দিয়নি,নিরাপত্তাসহ তারা নানা অজুহাত দেখিয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রায় ৬ কিলোমিটার খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে গিয়ে উঠবো এবং পায়ে হেঁটেই সেতু ভবনের সামনে যাবো।
লংমার্চে অংশ নেয়া শরীফ হাওলাদার বলেন, আমরা লংমার্চ নিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যেতে চেয়েছিলাম,সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের যেতে দেয়নি। তাই আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখে পদ্মা নদী সাঁতরে যাচ্ছি। একটা সেতুর দাবিতে নদী সাঁতরে পার হচ্ছি,এটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার। আমরা রাষ্ট্রের কাছে ভিক্ষা চাইনা,আমাদের ভোলাতে যে সম্পদ আছে তা থেকেই আমাদেরকে সেতু করে দেওয়া হোক এবং আমাদের অন্যান্য দাবি পূরন করুক। আজকে যদি আমাদের একজনেরও কিছু হয় তাহলে দায়ী থাকবে অন্তবর্তীকালীন সরকার ও পদ্মাসেতু কতৃপক্ষ। আমাদের লংমার্চ চলবে
এদিকে এদিন সন্ধ্যা সারে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত,প্রায় ২ কিলোমিটার পদ্মা নদী সাঁতরে অতিক্রম করেছেন আন্দোলনকারীরা।


ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন