অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা-বরিশাল সেতু ও গ্যাস সংযোগের দ্রুত আশ্বাস না পেয়ে তোপের মুখে অবরুদ্ধ ৩ উপদেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ই নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৩:০৭

remove_red_eye

১২৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : দিন ব্যাপী সফরের পর ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে চলে যাওয়ার পথে তোপের মুখে পড়ে অবরুদ্ধ হন শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তাদের অবরুদ্ধ করা হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে ভোলা-বরিশাল সেতুসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আসছে ভোলাবাসী। এই দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি শেখ মহিউদ্দিন ও সেতু সচিব ভোলায় এসে সম্ভাব্যতা যাচাইর  কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন। এ আশ্বাসে ভোলার মানুষ অনেকটা নিশ্চয়তা পেয়েছিলেন। বৈঠক হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু  শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে তিন উপদেষ্টার অংশগ্রহনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জ্বালানি ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্থানীয় ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের সঠিক সময় ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতুর বিষয়টি পূর্বের ডিজাইনে করা সম্ভব নয়। তাই নতুন করে ডিজাইন করা হচ্ছে। এ ডিজাইনের কাজ আগামী জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীতে শেষ হলে এর পর কাজ শুরু হবে। তবে তিনি সঠিক কোনো তারিখ বা অগ্রগতির কথা বলেননি। তবে এ সময় সেতু নির্মানে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। সময় লাগার কারন উল্লেখ করা হয়। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. তরিকুল ইসলাম কায়েদ বলেন, সেতু, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এর আগে বার বার বলেছিলেন আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতুর দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। কিন্তু ওনি আজকের সভায় বললেন আরো ৬ মাস পর সেতুর কাজ শুরু হবে। ওনার কথা ওনি রাখেন নাই এবং ওনি শপথ ভঙ্গ করেছেন।
এতে করে সভায় উপস্থিত ভোলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং প্রতিবাদ জানান। এ সময় বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ রাস্তায় শুয়ে তাদের গাড়ি ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে ও পুলিশের সহযোগীতায় ব্যারিকেড তুলে নেয়া হলে তারা  স্থান ত্যাগ করেন। পরে আন্দোলকারি ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে আন্দোলকারি ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু শাহাদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, গ্যাস ও সেতুর দাবিতে কিছু মানুষ গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী উপদেষ্টাগণ নিরাপদে চলে গেছেন।


ভোলা সদর মোঃ ইয়ামিন