অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ১২ই নভেম্বরকে উপকূল দিবস ও রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের দাবীতে আলোচনা সভা ও র‍্যালী


মো: ইয়ামিন

প্রকাশিত: ১২ই নভেম্বর ২০২৫ রাত ০৮:৫৩

remove_red_eye

৯৭

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে প্রায় ১০ লাখ নিহত মানুষদের স্মরণে দিনটিকে উপকূল দিবস ও রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবিতে ভোলায় আলোচনা সভা ও শোক র‍্যালি হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ১২টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ভোলা প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত ঘন্টাব্যাপী উপকূলের সমস্যা,সংকট এবং জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষের ন্যায্যতার দাবিতে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
এসময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি মনোনীত ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর।
ব-দ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী মীর মোশারেফ অমির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান,এনামুল হক, ভোলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাছেত, দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক শওকত হোসেন,ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ, সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ ।


সভায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন যুব শক্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য মোঃ শাকিব এবং ইসলামী সংগীত পরিচালনা করেন মোঃ আবদুর রহমান।
আলোচনা শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে পৃথিবীর ইতিহাসে এক রাতে এতো লোক মারা যায়নি। সেদিন ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। জেলাগুলো পরিণত হয় লাশের স্তুপে। এরমধ্যে ভোলারই প্রাণ যায় প্রায় ৫ লাখ মানুষের। দিনটির কথা মনে পড়লে আজও আতকে উঠেন স্বজনরা হারানো মানুষ। অতিদ্রুত দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় উপকূল দিবস ও রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানান বক্তারা। পরে প্রেসক্লাব থেকে একটি শোক র‍্যালি বের হয়,র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।


ভোলা সদর ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন