অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


সংস্কার প্রক্রিয়া সময়মতো সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে: ভোলায় হাসনাত আবদুল্লাহ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২রা নভেম্বর ২০২৫ রাত ০৮:০২

remove_red_eye

১২৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দক্ষিনাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সংস্কার না হলে নির্বাচন কেমনে হবে। এই সরকারের যদি সংস্কারের ম্যান্ডেট না থাকে। এই গনঅভূত্থান পরবর্তীতে এই সরকারের যদি জুলাই সনদ ঘোষনা দেওয়ার ম্যান্ডেট না থাকে ,তা হলে এই সরকার কোন ম্যান্ডেটে নির্বাচন দিবে সেটা আমি দেখতে চাই।  নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারীতে হতে হবে। নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায় যারা এই সরকারের সাথে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিতে চায়।  সংস্কার প্রক্রিয়া যথা সময়ে সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারীতে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে। 
রবিবার দুপুরে ভোলায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা শেষে  প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যারা জুলাই সনদ চায় না ,তারা বাংলাদেশটাকে কোন দিকে নিতে চায়। তারা আসলে কিসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই বিষয়টি জনগনের বুঝে যাওয়ার কথা। তিনি আরো বলেন, আমাদের  এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ইতো মধ্যেই স্পষ্ট করেছেন, আমাদের সাথে তাদেরই জোট হবে। আমরা তাদেরকেই জোট বদ্ধ করবো।  যাদের অবস্থান সংস্কারের পক্ষে ব্যাক্ত করেছেন এবং ২৪ যেই জনআকাঙ্খার কারনে ঘটেছে,সংবিধানিক রাষ্ট্রের কাঠামোতে দুর্বলতা উত্তরনে যারা আমাদের পাশে আসবে। আমাদের সাথে থাকবেন ,তাদেরকে নিয়েই আমাদের জোট হতে পারে।


তিনি স্পষ্ট করে আরো বলেন,গন ভোটের সাথে এটার অর্ডার হতে হবে। এই আদেশ অবশ্যই ড. মোহাম্মদ ইউনুস কে জারি করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা পক্ষ তারা চায় চুপ্পু এই আদেশের স্বাক্ষর করবে। চুপ্পুর কাছ থেকে যদি জুলাই সনদের  স্বাক্ষর নিতে হয়, তা হলে আমাদের সবার ভালো না নদীতে ডুবে যাওয়া। ঢাকার সব চেয়ে ভোলাতে শহীদ হয়েছে। তাদের পরিবার যদি জানে,যারা আহত হয়েছে তারা আত্নহত্যা করবে। যারা চুপ্পুর হাত থেকে আজকে বায়াত নিতে চায়, ফ্যাসিবাদের যিনি হচ্ছেন সুপ্রিম লিডার।ওনার কাছ থেকে বায়াত নিয়ে যারা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের এই উদ্দেশ্যকে আমরা সন্দেহ করি। এই ঘোষনা পত্র বৈধতা দেওয়ার কেবল মাত্র বৈধতা রয়েছে,এই গনঅভূত্থানের মধ্য দিয়ে ড. মোহাম্মদ ইউসুস এসেছে। তিনি এটার আদেশ দিবেন। আদেশ দ্রুততম হতে হবে। কোন অধ্যাদেশ নয়,কোন প্রজ্ঞাপন নয়। 
এনসিপির ভোলা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আ্যড. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, দক্ষিনাঞ্চলের যুগ্ম মূখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও জেলাসহ ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এর আগে তিনি  সকালে বরিশাল থেেেক স্পিড বোটে ভোলায় আসেন। 


ভোলা সদর ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন