অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


পেঁপে চাষে কলেজ ছাত্র ইসমাইলের বাজিমাৎ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১শে অক্টোবর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫

remove_red_eye

১০৪

জুন্নু রায়হান: পেঁপে চাষ করে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন ভোলার কলেজ ছাত্র মোঃ ইসমাইল হোসেন। মাত্র দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন ইসমাইল। তার এই সাফল্য দেখে স্থানীয় অনেক তরুণ শিক্ষিত যুবকও এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ পেঁপে চাষের কলাকৌশল জানতে আসছেন ইসমাইলের কাছে। 

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ছায়াঢাকা শান্ত সুনিবিড় গ্রাম মাঝিকান্দি। এই গ্রামের কৃষক মিলন মাঝির ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন। স্থানীয় নাজিউর রহমান কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র তিনি। শৈশব থেকেই পিতার পাশাপাশি কৃষি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। গত বছর তার পিতা দুই একর জমি কিনেন মাছের ঘের করার জন্য। স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবিএম মোস্তফা কামাল এর পরামর্শে ওই ঘেরের পাড়ে ইসমাইল করেছেন পেঁপে চাষ। 

ইসমাইল জানান, একমাস বয়সী প্রতিটি পেঁপে চারা ৫০ টাকা দরে ৪০০ চারা কিনেছিলেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ, তার বাবার সহায়তা এবং তার নিবিড় পরিচর্যায় শেষ পর্যন্ত ২৫০ টি গাছ ফল ধরার উপযোগী হয়েছে। সার, কীটনাশক, শ্রমিক সব মিলিয়ে ব্যয় করেছেন এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। চারা রোপনের আট মাস পর থেকে  পাকা পেঁপে বিক্রি শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন দুই লক্ষ ৭০ হাজার টাকার পেঁপে। আর ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ইসমাইল আরও জানান, সবজি হিসেবে কাঁচা পেঁপ বিক্রি করেন না তিনি। ফল হিসেবে পাকা পেঁপে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে এখন বাগান থেকে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। শুরুতে আরও বেশি দাম পেয়েছিলেন। 
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবিএম মোস্তফা কামাল জানান, কলেজ ছাত্র ইসমাইলের কৃষি প্রতি অত্যধিক আগ্রহ দেখে তাকে পেঁপে চাষের পরামর্শ দিয়েছি। প্রথম বছরেই তিনি বাজিমাৎ করেছেন।  তার প্রতিটি গাছে ৩০ থেকে ৪০টি পেঁপে রয়েছে এবং প্রত্যেকটি পেঁপের ওজন গড়ে আরাই থেকে তিন কেজি। ইসমাইলের এমন অভূতপূর্ব সাফল্য দেখে সবাই হতবাক। ইসমাইলের পেঁপে বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন আসে। এলাকার শিক্ষিত তরুণ যুবকরা ইসমাইলের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। 
ইসমাইল জানান, পেঁপে চাষ করতে বিশেষ কোন পরিশ্রম করতে হয়না। পড়া লেখার পাশাপাশি এই কাজ করতে তার কোন সমস্যা হয় না বরং লেখা পড়াসহ সকল খরচ এখান থেকে উঠে আসছে। 
জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম মল্লিক জানান, কলেজ ছাত্র ইসমাইল পেঁপে চাষ করে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়ায় এলাকার শিক্ষিত যুবকদের কাছে তিনি এখন তারুণ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার দেখা দেখি আরও যদি কেউ পেঁপে চাষ আগ্রহী হয়ে ওঠে কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে। 


ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন