অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধির জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে অক্টোবর ২০২৫ রাত ১০:৪১

remove_red_eye

১৫০

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধির উঠোনের মাঝ খানে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার(২২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চতলা বাজার এলাকায় আনছার ইঞ্জিনিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো: কামরুজ্জামান বাচ্চু অভিযোগ করে বলেন,আমি ২০০৪ সালে আমার চাচা মো: সামছল হক এর নিকট থেকে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করি।

এস এ খতিয়ান নং ১০১৪, ৬২,৬১১ ও ৬১৩ যাহা ১৭৬০,১৯৫৩,১৬৯,১৭১,১৭৪৬,১৭৪৭,১৭৪৯,১৭৪১,১৭৪২,১৭৪৩,১৯৪৯ ও ১৭৪৪ দাগ ভুক্ত। জমি ক্রয়ের পর থেকে আমি উক্ত জমি ভোগ দখল করিতেছি এবং আমার নামে হওয়া বর্তমান জরিপের ডিপি নং ৬৪৪।
ঘটনার দিন আমার প্রতিবেশী আবু তাহের আমার ওই জমিতে মুরগির ঘর তোলে এসময় তাকে আমার স্ত্রী বাঁধা দিলে আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তার গায়ের দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারতে তেড়ে যায় এবং আরো জমি পাবে বলে আমার জমিতে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় আমি আপনাদের মাধ্যমে সুস্থ বিচারের দাবি জানাচ্ছি। 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কামরুজ্জামান বাচ্চু আরো জানান ২০০৪ সালে আমি আমার চাচা থেকে তৎকালীন বাজার মূল্যে ওই  জমি ক্রয় করি এবং জমি রেজিস্টার এর জন্য পাটওয়ারীর মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করি,অফিসের সময় শেষ হওয়ার কারনে সাব-রেজিস্ট্রার চলে যাওয়ায় ওই দিন  জমি দলিল রেজিস্ট্রারি সম্পন্ন করা হয়নি। তারপরেই আমার চাচা সামছল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে নেয় তার সন্তানেরা।পরে তিনি চিকিৎসা অবস্থায় ঢাকায় মারা যায়। জমি ক্রয়ের বিষয়টি এলাকার গান্যমান্য লোকজন জানা থাকার কারনে তারা আমাকে ৯জন লোক সাক্ষী হয়ে একটি লিখিত দেন। ওই লিখিত কাগজেও ৩ নাম্বারে আবু তাহের মিয়া স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু তাহেরের ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চেয়ে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


লালমোহন মোঃ ইয়ামিন



আরও...