অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ৫ দফা দাবি আদায়ের জামায়াতে ইসলামীর পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই অক্টোবর ২০২৫ রাত ১২:১৬

remove_red_eye

১৫৮

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার ওয়েস্টার্ন পাড়াস্থ নিজ কার্যালয়ের মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় দুই ঘন্টাব্যাপী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। মূল লক্ষ্য ছিল— PR (প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত ৫ দফা দাবি আদায়ের কার্যকর কৌশল নির্ধারণ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মুহাম্মদ জাকির হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হারুনুর রশিদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্বাস উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল মোর্শেদ চৌধুরী, মাওলানা জাকির হোসাইন এবং পৌর আমির জামাল উদ্দিনসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য PR পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জরুরি।

তারা মনে করেন, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত মতামত ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্বাস উদ্দিন বলেন, “সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে ছিল, এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছে—আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু বিগত ৫৪ বছরে দেশে স্থায়ী শান্তি আসেনি। ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার সময় সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছে, ছাত্রশিবিরের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, ৪০২ জনকে গুম করা হয়েছে। পুরো দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল।

মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—চায় ঘুষ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ; চায় গুম-খুনহীন শান্তিপূর্ণ জীবন।” সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে জেলা আমির মুহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, “আমরা ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী। আমাদের পাঁচ দফা দাবি দেশের মানুষের মুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য।

এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।” সভায় আলোচিত জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা দাবি ছিল— ১. PR পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন

২. গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা

৩.মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ

৪. দুর্নীতি, ঘুষ ও চাঁদাবাজি দমন

৫. জনগণের অর্থে স্বচ্ছ প্রশাসন ও ন্যায়ভিত্তিক অর্থনীতি গঠন।

সভায় সেক্রেটারি জেনারেল শাহ মোহাম্মদ কাজী হারুন অর রশিদ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহতদের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, “সারা দেশের মানুষ এখন বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশায় মুখিয়ে আছে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ শান্তি, ন্যায় ও উন্নয়নের পথে নতুন সূচনা দেখতে চায়। সকলে এর পক্ষে থাকলেও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার মানুষ এর বিরোধিতা করছে।  মতবিনিময় সভাটি প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং এতে উপস্থিত অতিথিরা দেশব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সভার আয়োজক ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ভোলা জেলা শাখা।


জামায়াতে ইসলামী মোঃ ইয়ামিন



আরও...