অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প নেই


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ঠা অক্টোবর ২০২৫ রাত ১০:১৬

remove_red_eye

৬০৬

কাজী জামাল, দৌলতখান থেকে : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম। আগামী নির্বাচনে এই আসনে হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এবারও রাজনৈতিক সংঘাতের রক্তাক্ত অতীতকে পেছনে ফেলে ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি ভোটের মাঠে নেমেছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ ১৭ বছরের দমন পীড়ণ, হামলা মামলা উপেক্ষা করে দলের চরম দুর্দিনেও বোরহানউদ্দিন দৌলতখানের রাজনৈতিক মাঠে অবিচল ছিলেন এই জনসম্পৃক্ত নেতা। তাই এই জনপ্রিয় নেতাকে ঘিরেই স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। তার বিকল্প এখনে এই জনপদে কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। দলের নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, যিনি ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে দলকে আগলে রেখেছেন, তিনিই পারবেন তৃণমূলের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিদান দিতে। 
চরম রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মাঝেও এই নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে হাফিজ ইব্রাহিমের পথচলা কখনোই মসৃণ ছিল না। বিশেষ করে, ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালে তার নির্বাচনী এলাক ভোলা-২ আসন দৌলতখান  ও  বোরহানউদ্দিনে  তৎকালীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হাফিজ ইব্রাহিমকে এলাকায় আসতে না দেওয়া  ঘটনাটি নেতাকর্মীদের মনে এক দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। এমন চরম প্রতিকূলতার পরেও  হাফিজ ইব্রাহিম রাজনৈতিক ময়দান থেকে একচুলও বিচ্যুত হননি, যা তাকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে একজন পরীক্ষিত ও নির্ভীক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু,  বলেন, বছরের পর বছর ধরে দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন বিএনপি যখন রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা, তখন হাফিজ ইব্রাহিম দলকে সংগঠিত রাখতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে অনেকগুলো মামলার হামলার স্বীকার হয়ে রাজনৈতিক ভাবেই  মোকাবিলা করেন। শত হামলা, মামলা ও নিপীড়ন উপেক্ষা করে তার কর্মীদের পাশে থেকেছেন। তাদের নেতৃত্বেই দীর্ঘদিন পর দৌলতখান  ও বোরহানউদ্দিন বিএনপি পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির গতি পায়, যা তৃণমূলে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে।

তিনি  ২০০১  সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহামেদকে একলক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগের  ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি হাফিজ ইব্রাহিম বিএনপির জন্য নির্ধারিত আসনে পরিণত করেছেন।

আগামী নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হলে অর্থাৎ দলীয় মনোনয়ন পেলে নিশ্চিতভাবে আসনটি বিএনপির ঘরে উঠবে। হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প কেউ নেই। তারপরও যদি এই আসনে নতুন কোন মুখ মনোনয়ন পায় সে ক্ষেত্রে আসনটি বিএনপি পাবে কি না তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।  


দৌলতখান বোরহানউদ্দিন মোঃ ইয়ামিন



আরও...