অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের ভরসা সাঁকো


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:৪৭

remove_red_eye

১৪৬

ফখরে আজম পলাশ, তজুমদ্দিন থেকে : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ২নং সোনাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে সালেম মেম্বারের বাড়ি থেকে চাপড়ী আলীম মাদ্রাসা হয়ে মতিন কমান্ডারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার বেহাল দশা আজ এলাকাবাসীর জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক যুগেও এলাকাবাসীকে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা করতে হচ্ছে একটি জীর্ণ সাঁকোর উপর।

এ পথ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ, জেলে-ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় সাধারণ জনগণ চলাচল করেন। শুধু তাই নয়, চাপড়ী আলীম মাদ্রাসাসহ নিকটবর্তী চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীও প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সাঁকো পার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। অনেক সময় পানিতে পড়ে শরীর ভিজে যাওয়ায় এবং কাদামাটিতে মাখামাখি হয়ে তারা বিদ্যালয় বা মাদ্রাসায় পৌঁছাতে না পেরে মাঝপথ থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এতে তাদের নিয়মিত পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এমনকি বয়স্ক মানুষ, নারী ও রোগীদের জন্য এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

চাপড়ী আলীম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন— “এটি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। প্রতিদিনের দুর্ঘটনা ও কষ্ট আমাদের অসহায় করে তুলেছে। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার এবং বিকল্প টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।”

অতএব, অতি দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার ও একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যথায় হাজারো মানুষের চলাচল, শিক্ষা ও জীবিকা সবকিছুই অব্যাহতভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হবে।


তজুমদ্দিন ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন