অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ২ সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি হত্যাকারী


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০১

remove_red_eye

৯৪

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের গভীর রাতে প্রবাসীর ঘরে ডুকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ২সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে এমন একজনকে সন্দেহের তালিকায় নিয়েছে পুলিশ। তার সাথে আরো দুই-তিনজন থাকতে পারে বলে ধারণা। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই ব্যক্তি নিহত বৃদ্ধা আকিমজানের বাড়ির পাশেরই। সে কখনো মোটরসাইকেল চালক, কখনো মাদক বিক্রেতা, আবার রাতের আঁধারে বাসা বাড়িতে ডুকে চুরিই তার পেশা। ঘটনার আগের দিনও তাকে এলাকায় দেখা গেছে। তবে পরদিন থেকেই সে লাপাত্তা। 
গত ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের রফিক ডুবাই বাড়িতে খাবারে নেশাদ্রব্য খাইয়ে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরে থাকে বৃদ্ধা আকিমজান টের পেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় ঘরে আকিমজানের অসুস্থ্য স্বামী তোফাজ্জল হোসেন, তার পুত্রবধু তানিয়া ও ছোট শিশু সন্তান ছিল। ছেলে রফিক সৌদী আরব প্রবাসী। ছেলে রফিকের পাকা ভবনেই থাকতো আকিমজান ও তোফাজ্জল। সকালে বাবা তোফাজ্জল হোসেনের ডাক শুনে ছেলে কামাল ও তার স্ত্রী প্রথমে ঘরে প্রবেশ করে মাকে রক্তাক্ত মৃত দেখতে পান। এসময় রফিকের স্ত্রী তানিয়া ও তার শিশু ভেতরের রুমে ছিল। ওই রুমের দরজা বন্ধ থাকায় দরজার নক ভেঙ্গে তানিয়াকে ও বাবা তোফাজ্জলকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার পর ছেলে জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। 
কি কারণে এই হত্যাকান্ড তার প্রাথমিক সম্ভাবনা ‘চুরির উদ্দেশ্য’ বলছেন আকিমজানের পরিবার। ওই রাতে তাদের ঘর থেকে কয়েক ভড়ি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি হয় বলে জানান আকিমজানের মেয়ে সইফুল বেগম এবং পুত্ররা। রাতের খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তারা। তবে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ এই ঘটনা ঘটালেও ঘরে প্রবেশ করা নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। বাইরে থেকে দরজা বা জানালা ভেঙ্গে কেউ প্রবেশ করেছে এমন কিছু দেখতে পাওয়া যায়নি। তাহলে কি সেই রাতে দরজা খোলা ছিল, না আগেই ঘরে ডুকে কেউ লুকিয়ে ছিল? নাকি ভেতর থেকে কেউ খুলে দিয়েছিল- এমন তিনটি প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা।   
এদিকে সন্দেহভাজন ওই প্রতিবেশীকে আটক করতে পারলেই মূল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানান থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পরপরই সে চট্টগ্রাম পালিয়ে যায়, তারপর আবার স্থান বদল করে। বর্তমানে নেটওয়ার্কের আওতায় না থাকায় তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারছে না বলে জানান লালমোহন থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম।


লালমোহন মোঃ ইয়ামিন



আরও...