অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


অসহায় মানুষের ভরসা ছিদ্দিক উল্লাহ, নতুন ঘর পেলেন বিধবা আনোয়ারা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুর ০২:৫৪

remove_red_eye

১১৯

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : জীবনের দীর্ঘ সংগ্রামে অভাব অনটনের সঙ্গে লড়াই করেছেন বিধবা আনোয়ারা বেগম (৬০)। স্বামীর মৃত্যুর পর ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের ঢালে জরাজীর্ণ একটি ঝুপড়িই ছিল তাঁর শেষ আশ্রয়। মাথার ওপর ভাঙা টিন, চারপাশে দুর্বল বেড়া যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারত সেই ঘর। দুই কন্যাকে নিয়ে তিনি কাটিয়েছেন অনাহার–অর্ধাহারে দিন, পাননি সরকারি সাহায্য কিংবা সমাজের সহায়তা।

অবশেষে দীর্ঘ কষ্টের পর নতুন আশ্রয় পেলেন আনোয়ারা বেগম। ভোলা–৪ (চরফ্যাশন–মনপুরা) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া তাঁর জন্য তৈরি করে দিয়েছেন একটি নতুন টিনের ঘর।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন ঘরে আলো ঝলমল করছে। স্থানীয়রা জানান, আগে দূর থেকে ঘরটিকে পরিত্যক্ত মনে হতো। অথচ সেই ভাঙাচোরা ঝুপড়িতেই টিকে ছিলেন আনোয়ারা। এখন নতুন ঘর পেয়ে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।

তবে শুধু আনোয়ারা বেগম নন, অসহায় আরও অনেক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আহাম্মদপুর ইউনিয়নের শামীম গাছ থেকে পড়ে কোমর ভেঙে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে তাঁর পুনর্বাসনের জন্য একটি দোকান করে দেন এবং চলাফেরার জন্য হুইলচেয়ার উপহার দেন। বোরহানউদ্দিনে দুর্ঘটনায় পা হারানো ইয়ানুর বেগমকেও নতুন হুইলচেয়ার দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি।

এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে চরফ্যাশনের শুকনাখালী বাজার ও গাছিখাল বাজারে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি অসুস্থ চর কলমী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাজাহান চৌধুরীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।

মানবিক এসব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, “আমি কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিই না। সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি এবং সবসময় চেষ্টা করি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

স্থানীয়রা বলছেন, রাজনীতির পাশাপাশি মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তাঁর এই উদ্যোগ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।


ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন চরফ্যাসন