অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় উদ্যোক্তাদের হাতে আধুনিক মিষ্টি ও দই উৎপাদন মেশিন বিতরণ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪

remove_red_eye

১৩০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ঘটাটে উদ্যোক্তাদের হাতে আধুনিক মিষ্টি ও দই উৎপাদন মেশিন হস্তান্তর করা হয়েছে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) বাস্তবায়নাধীন রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি)-এর আওতায় মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন পৌর এলাকায় অবস্থিত এফডিএ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই উদ্যোক্তার হাতে এসব মেশিন হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে লালমোহনের “মিষ্টি মুখ এন্ড ফাস্টফুড” প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সজিবের হাতে মিষ্টি বানানোর মেশিন এবং চরফ্যাশনের “ক্রেজি ফুড” প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মিরাজের হাতে দই উৎপাদনের জন্য ইউগার্ড ইনকিউবেটর মেশিন তুলে দেন পরিবার উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফডিএ’র সিনিয়র প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শংকর চন্দ্র দেবনাথ, প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মো. ফারুক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মো. সাদ্দাম হোসেনসহ এফডিএ আরএমটিপি প্রকল্পের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় উদ্যোক্তারা।

প্রতিক্রিয়ায় উদ্যোক্তা মো. সজিব বলেন, “আমার বর্তমানে তিনটি আউটলেট রয়েছে। প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ কেজি দুধ দিয়ে মিষ্টি উৎপাদন করি। নতুন এই মেশিন ব্যবহার করে কম সময়ে বেশি উৎপাদন করা যাবে। এতে শ্রম খরচ কমবে, আর গুণগতমান বজায় রেখে ক্রেতাদের হাতের নাগালে দাম রাখা সম্ভব হবে।”
অন্যদিকে দই উৎপাদনে ইউগার্ড ইনকিউবেটর মেশিন পেয়ে উদ্যোক্তা মো. মিরাজ জানান, “এই ইনকিউবেটর ব্যবহারে যেকোন মৌসুমে দ্রুত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে দই উৎপাদন করা যাবে। এতে ধুলাবালি ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত পণ্য তৈরি সম্ভব হবে, যা প্রচলিত পদ্ধতিতে সম্ভব নয়।”
এফডিএ’র কর্মকর্তারা জানান, আধুনিক মেশিন ব্যবহারে স্থানীয় পর্যায়ে দুগ্ধজাত পণ্যের গুণগত মান ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা ভোলার অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন