অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত ০৮:১৩

remove_red_eye

১৩৩


মোঃ মহিউদ্দি: ভোলা জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাদ জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বেলাল হোসেন, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, অভিভাবক, ইমাম-খতিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলার উপপরিচালক এম মাকসুদুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্যে এম মাকসুদুর রহমান বলেন, জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগে মানব সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করেন। তাঁর আগমনের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই সকলকে নবী করিম (সা.)-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সত্য ও সততার সঙ্গে জীবন পরিচালনার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। তাঁর জীবন ও আদর্শেই জাতির কল্যাণ নিহিত। তিনি আরও বলেন, আমাদের নবীই শেষ নবী, তাঁর পর আর কোনো নবী আসবেন না। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত তাঁর আদর্শকে জীবনচর্চায় ধারণ করা।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মুফতি রিয়াজ উদ্দিন কাসেমী। তিনি বলেন, নবীজীর জীবন দুই দিক থেকে আলোচনাযোগ্য—মিলাদুন নবী ও সিরাতুন নবী। মিলাদুন নবী উদযাপন করা হলেও তা আমলযোগ্য নয়, তবে সিরাতুন নবী সর্বদা অনুসরণীয় ও বাস্তবায়নযোগ্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার প্রতীক। তাই দেশ ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্য, সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 


ভোলা সদর মোঃ ইয়ামিন