অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ধার করা ডাক্তার দিয়ে চলছে তজুমদ্দিনের ৫০ শয্যার হাসপাতাল


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে আগস্ট ২০২৫ রাত ১১:১০

remove_red_eye

১৬৪

এম এ হালিম তজুমদ্দিন থেকে : ভোলার তজুমদ্দিনে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উপজেলার দেড় লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ১জন মাত্র ডাক্তার। ১৫ জন ডাক্তারের পদ চালু থাকলেও ওই একজন ডাক্তারকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনপুরা থেকে ধার করে (প্রেষনে) এনে কোনমতে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। জনবল সংকটের কারনে এখানে প্রায় সময় নার্স দিয়ে চলছে ডাক্তারের কাজ। এছাড়া মিটিং, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৩ জন ডাক্তার তজুমদ্দিনে পোস্টিং দিলেও দুই মাস অতিবাহিত হওয়া সত্বেও তারা যোগদান করেননি। ফলে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে এই উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। বর্হিবিভাগ ও আন্তঃবিভাগের দায়িত্বরতদের প্রতিদিন ভীর সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ৫০ শয্যা ভবন ও সরঞ্জাম থাকলেও পদ শৃজন না হওয়ায় কার্যক্রম চলছে ৩১ শয্যা অনুযায়ী।

এখানে কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারের ১৫ টি পদে কর্মরত রয়েছেন স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাসহ মাত্র দুইজন। এছাড়া নার্স ও মিডওয়াইফ ৩১ টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন  ১১জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৬ টি পদে কর্মরত আছেন ২ জন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৩টি পদের ৩টিই শূন্য, প্যাথলোজিষ্ট পদে দুটি পদই শূণ্য, ইউনিয়ন সেন্টার স্যাকমো ৫ টি পদের ৫ টিই শূন্য রয়েছে এবং তৃতীয় শ্রেণীর ৬৬ টি পদের বিপরীতে শূণ্য রয়েছে ৩১ টি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির একদিকে যেমন জনবল সঙ্কট অন্যদিকে রয়েছে সরঞ্জামাদি ও টেকনেশিয়ানের সঙ্কট। লোকবলের অভাবে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে, ইসিজি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনগুলো  পড়ে আছে অচলবস্থায়। উপজেলার দুর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ময়ফুল,খাদিজা, আঃ মতিন সহ কয়েকজন জানান, জেলা সদর হাসপাতাল দূরে হওয়া ও সামর্থ্য না থাকার কারণে বাধ্য হয়ে এখানে  চিকিৎসা সেবা নিতে আসতে হয়। আর সেই কারণে ঝুঁকি নিয়ে ভর্তি হতে হয় অনেক রোগীদেরকে।

এছাড়া হাসপাতালটিতে এক্সরে, আল্ট্রসনোগ্রাফ মেশিন অকেজো থাকায় ও টেকনিশিয়ানের অভাবে এখানে ভর্তিকৃত রোগীদের অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা বাহির থেকে করাতে হয়। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। হাসপাতালে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স মিশু দত্ত জানান, নার্স, ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে ওয়ার্ডে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তার পরও ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে চেষ্টা করছেন তারা। তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা:রাহাত হোসেন জানান, পদায়নকৃত ৩ জন চিকিৎসক যোগদান না করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আকারে অবহিত করা হয়েছে।

চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও আন্তঃবিভাগের প্রতিদিন দু'থেকে তিনশো রোগীদের মানসম্মত সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বলে জানান তিনি। 


তজুমদ্দিন ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন