অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় পুলিশের মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ চাইলেন জেলা স্বেচ্ছাসেক দলের সাবেক সম্পাদক খন্দকার আল-আমিন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে আগস্ট ২০২৫ রাত ০৯:১৫

remove_red_eye

১৬১

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় ২০২২ সালের বিএনপির কর্মসূচি পুলিশের গুলিতে তৎকালিন আওয়ামী লীগের আমলে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পুলিশের দেয়া মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল-আমিন ।
আজ  মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ শীর্ষনেতৃবৃন্দের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার আল আমিন জানান, তিনি রাজনৈতিক জীবনে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) ও সর্বশেষ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বে থাকাকালীন ২০২২ সালের ৩১জুলাই জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে তৈল, গ্যাস ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচি চলাকালে ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) আরমানের নেতৃত্বে গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন। এতে করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম চারদিন পর ৩ আগস্ট ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় খন্দকার আল আমিনসহ বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই সময় বিএনপির আন্দোলণের আলোচিত ঘটনা ছিল এটি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতে  আব্দুর রহিম ও নুরে আলম নিহতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে  ওসি আরমানসহ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলা দুইটিকে মিথ্যা প্রমান করার জন্য পরিকল্পিতভাবে উল্টো ভোলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম বাদী হয়ে বিএনপির ৭১জনের নাম উল্লেখ করে একটি পুলিশ অ্যাসোল্ট ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায়  আদলত ৭০ জনকে জামিন দিলেও একমাত্র খন্দকার আল আমিনের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলে হাজতে পাঠান। রিমান্ডের নামে নানা নির্যাতন করে।ওই মামলায় তিন মাস কারাভোগের পর জামিন পান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের এক বছর পরেও পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলা দুইটির রয়ে গেছে। তার অভিযোগ, নিহতদের পরিবারের দায়ের করা মামলা থেকে পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে তাকে ( আল আমিনকে) পুলিশের দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে চার্জশিট দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন খন্দকার আল আমিন।


ভোলা সদর ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন



আরও...