অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বিরল চর্মরোগে এক শিশু আক্রান্ত


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই আগস্ট ২০২৫ রাত ১২:০৩

remove_red_eye

১২৯

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রামে জন্ম হয়েছিল ফুটফুটে কন্যা শিশু নুহামনির। বয়স মাত্র ৫ বছর হলেও জন্মের পর থেকেই তাকে লড়াই করতে হচ্ছে এক বিরল ও ভয়াবহ চর্মরোগের সঙ্গে। নুহামনির মুখ, হাত-পা, পিঠজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বড় বড় ফোসকা, ঘা ও খসখসে ত্বক। দিনরাত অসহ্য চুলকানি আর ব্যথায় কাতরাচ্ছে সে। দারিদ্র্য পীড়িত পরিবার একাধিকবার স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করালেও এখনও রোগের সঠিক নাম বা কার্যকর সমাধান জানা যায়নি। দিনমজুর বাবা আল-আমীনের সামান্য আয়েই চলে সংসার। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে গিয়ে পরিবার দিশেহারা।
মা শিল্পী বেগম বলেন, মেয়ে জন্মের পর থেকেই আলাদা রকম। ভেবেছিলাম সময়ের সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে। এখন ওর যন্ত্রণায় চোখের জল ধরা যায় না। কোনো ভালো ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্যও নেই।
দাদী বিনু বেগমও অসহায়ের মতো কাঁদতে কাঁদতে বলেন, জন্মের পর থেকে নাতনিকে ভালোভাবে গোসল করাতে পারিনি। শরীরে সাবান বা শ্যাম্পু পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারি না। সারারাত চুলকায়, ঘুমাতে পারে না। বর্তমানে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া সামান্য ওষুধেই চলছে তার চিকিৎসা। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা থেমে আছে। গ্রামবাসীরা জানান, শরীরের ভয়াবহতার কারণে সমবয়সী শিশুরা তার সঙ্গে খেলতে চায় না। ফলে নুহামনি একা পড়ে থাকে ঘরের কোনে। স্থানীয়রা সমাজের বিত্তবান ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, এটি একটি মারাত্মক চর্মরোগ। উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশুটিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু অর্থাভাবে সেই পথও বন্ধ রয়েছে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের প্রত্যাশা মানবিক মানুষ ও সরকার পাশে দাঁড়ালে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে শিশু নুহামনি। শিশুটির পরিবার চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। যে কেউ সহায়তা দিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে: ০১৩০৫৩৭৮৭৮০।


বোরহানউদ্দিন ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন



আরও...