অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় কৃষি প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম রোধে সরকারের প্রতি কৃষক ঐক্যের আহ্বান


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই আগস্ট ২০২৫ রাত ১১:৫৮

remove_red_eye

১১২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : কৃষি প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক ঐক্য পরিষদ ভোলা জেলা শাখা। একই সঙ্গে কৃষকদের ১০দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান করেন সংগঠনটির নেতারা। তাঁরা বলেছেন, প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হলে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রবিবার দুপুরে সংগঠনের নেতারা ভোলা জেলা মুসলিম ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এক জরুরী সভার আয়োজন করেছে। সেখানে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। 
বাংলাদেশ কৃষক ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ফরাজী বলেন, জরুরী ভিত্তিতে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও প্রকৃত কৃষকদের হাতে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে। কৃষিপ্রণোদনা পাচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা। যাঁরা কখনও একটি বীজ পোঁতেনি। তাঁরা বীজ-সার নিয়ে দোকানে বিক্রি করছে, নইলে হাঁস-মুরগী, কবুতরকে খাওয়াচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত কৃষক যাঁরা, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকের হাতে দিতে হবে। 
সাহাব উদ্দিন ফরাজী আরও বলেন, সরকারের মহৎ কৃষি সহায়তা প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে কৃষক সমাজ উপকৃত হবে এবং দেশীয় কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে।
ভোলা জেলা কৃষক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মো. জাকির হোসেন বলেন,বিভিন্ন উপজেলায় সার, বীজ ও কীটনাশকসহ সরকারি প্রণোদনার মালামাল বিতরণে রাজনৈতিক তদবির ও প্রভাব খাটানো হচ্ছে। এতে প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভোলা সদর শাখার আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান বলেন. কৃষি বিভাগকে প্রণোদনা বিতরণে কৃষক ঐক্য পরিষদকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কৃষি সহায়তা কার্যক্রমকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে।  প্রকৃত কৃষকের তালিকা অনুযায়ী উপকরণ বিতরণ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সভাশেষে কৃষক নেতারা কৃষকদের মধ্যে ১০দফা দাবি বাস্তবায়নে লিপলেট বিতরণ করেন। দাবিগুলো হচ্ছে- আলু, পেঁয়াজ কমিশন গঠন ও উপজেলা ভিত্তিক কাঁচামাল সংরক্ষণাগার ও রপ্তানিকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে কৃষকের বাজার স্থাপন করতে হবে। সহজশর্তে কৃষি প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণ করতে হবে। সিন্ডিকেটমুক্ত করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ককরতে হবে। কৃষিজপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, টোলপ্রথা নির্মূল করে রেলগাড়ীতে রেলবগি ও লঞ্চে নির্ধারিত কক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। 
খাস ও পতিত জমি বরাদ্দসহ কৃষকদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু ককরতে হবে। সরকারিভাবে কৃষিবীমা চালু ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও বেসরকারি হাসপাতালে-ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সংসদ, অন্যান্য জাতীয় কমিটি ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মাসিক সভায় অনুপাতিক হারে কৃষক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবং কৃষি প্রযুক্তি ও অ্যাপস আধুনিকায়ন ও বাস্তবমুখী করতে হবে। 
কৃষক নেতারা বলেন, ‘আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে কৃষকের ন্যায্য অধিকার রক্ষা পাবে।’


ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন