অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ভাঙনের ঝুঁকিতে স্কুলভবন তলিয়ে যেতে পারে যেকোনো সময়


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই আগস্ট ২০২৫ রাত ১২:২৭

remove_red_eye

১৭১

জন্নু রায়হান : ভোলার ৪ নং চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আর মাত্র ১০/১৫ ফুট দূরে ইলিশা নদী। চরম ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। যে কোন সময় নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়টি।
তবে ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্কুলটি রক্ষার জন্য নদীতে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা নদীতে স্রোতের যে প্রবল বেগ এতে বালির বস্তা কোন কাজে আসবেনা। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। 


ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর ইলিশা নদীর তীরবর্তী গ্রাম চর মোহাম্মদ আলী। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৪ নং চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে এখানে স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার হিসাবে পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর ইলিশা নদীতে ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে। বর্তমানে বভনের পিছনে মাত্র ১০/১৫ ফুট দূরে এবং পাশে ৩০/৪০ ফুট দূরে নদী। ইতোমধ্যে স্কুল ভবনের নিচতলার মেঝেতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্কুল ভবন।
এলাকাসীর দাবি স্কুল ভবনটি তাদের আশ্রয় কেন্দ্র। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে তারা এই একমাত্র স্কুল ভবনে আশ্রয় নেয়। এটি সরিয়ে না নিয়ে ভবনটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তাদের। এটি রক্ষা না করে এখান থেকে সরিয়ে নিলে তাদের আশ্রয়ের আর জায়গা থাকবেনা। 


রাজাপুর ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এজাজ আহম্মেদ জানান, স্কুলটি  ঝুঁকির মধ্যে থাকায় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের মতামত পেলে ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পনি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউদ্দীন আরিফ জানান, ভবনটি রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বালু ভর্তি জিও টিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে। 


ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন