অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


৮ ঘন্টা তলিয়ে থাকে ইলিশা ফেরিঘাট ফেরি চলাচল ব্যাহত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই আগস্ট ২০২৫ রাত ১২:১২

remove_red_eye

১৭২

মেঘনা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে এখনো প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানির উচ্চতা কিছু টা কমেছে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৭৪ সেন্টিমিটার থেকে কমে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে 
অতি জোয়ারে পানিতে ইলিশা ফেরি ঘাট প্লাবিত হয়।  গত ৪ দিন ধরে ইলিশা ফেরি ঘাট সকাল ও বিকাল দুই বেলা জোয়ারে  প্রায় ৮ ঘন্টা ফেরি ঘাট তলিয়ে থাকে। যার ফলে ফেরিঘাটের যাতায়াত পথ গ্যাং ওয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়া যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।  এছাড়াও যানবাহন ও ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে ওঠা নামা করতে হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ও বিকালে জোয়ার এলেই তলিয়ে যায় ইলিশা ফেরি ঘাট। বিশেষ লো ওয়াটার ঘাট পুরো তলিয়ে যায়। আর হাই ওয়াটার ঘাট আংশিক তলিয়ে থাকে।
এসময় লক্ষীপুর থেকে ফেরিঘাট আসলে নৌকা দিয়ে যাত্রীদের ফেরিতে ওঠা নামা করতে হয়। সকাল বিকাল ৪ ঘন্টা করে ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় বাস সহ বিভিন্ন পন্যবাহি গাড়ি ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের দাবী, ইলিশা ফেরি ঘাটে এই সমস্যা সমাধানে কতৃপক্ষ যাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। 
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন আরিফ জানান, তাদের সবশেষে পর্যবেক্ষণে ভোলার মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ভোলা -লক্ষীপুর নৌ রুটের ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার হোসেন জানান,উজানের পানির চাপে  জোয়ার এলেই ইলিশা ফেরি ঘাটের লো ওয়াটার ঘাট পুরো ডুবে যায়। পাশাপাশি হাই ওয়াটার ঘাটের আংশিক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে সকাল ও বিকাল দুই বেলা প্রায় ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে করে সময় জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে ফেরি চলাচল করতে হয়। পানি কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।


ভোলা সদর মোঃ ইয়ামিন



আরও...