অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনের চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদে গণঅভ্যুত্থান দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন নিয়ে তোলপাড়


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই আগস্ট ২০২৫ রাত ০৮:০৩

remove_red_eye

১৭৫

এইচ আর সুমন : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গণঅভ্যুত্থান দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন করা নিয়ে তোলপাড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় এই ঘটনা ঘটে।
চাঁচড়া ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোফাজ্জল আলম সিকদার জানান, আমাদের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দোসর আবু তাহেরের ডান হাত পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করতো রফিজল নামে এক লোক। সেই গণ অভ্যুত্থান দিবসে কালো পতাকা উত্তলোন করছে ছিলো। ২০২৪ সালে আজকের এইদিনে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। আজকে আমাদের আনন্দের দিন। আনন্দের এই দিনে কেন শোকের পতাকা।
৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সবুজ তালুকদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আলাউদ্দিন ও কেয়ারটেকার রফিজল এই কালো পতাকা উত্তলোন করে এবং সরকারি বন্ধের দিনেও সচিব টেক অফিসারের অনুপস্থিতিতে চাউল বিতরণ করেন। সরকারি ছুটির দিনে চাউল বিতরণ করে আমাদের গণঅভ্যুত্থান কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই সচিব ইয়াজউদ্দিন রিয়াজ। 
৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অন্য এক বাসিন্দা মোঃ সুমন বলেন, ৫ তারিখে সারা বাংলাদেশ হয়েছে আনন্দ মিছিল। কিন্তু চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদে পালিত হয়েছে শোক দিবস। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা / সাড়ে ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দোকানে চা খেতে গেলে দেখি জাতীয় পতাকার সাথে কালো পতাকা টানানো। তখন আমরা কয়েকজন জিজ্ঞাস করার পর জানাজানি হলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আসলে সচিব, চৌকিদার ও দফাদারেরবউপস্থিতিতে  কালো পতাকাটি নামানো হয়। ৫ তারিখে ছিলো বন্ধ দিন। সারা বাংলাদেশে সকল সরকারি কার্যক্রম বন্ধ। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নে সচিব চাউল বিতরণ করছে। এই বিষয়গুলো তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি কাছে অভিযোগ করবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিজল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আলাউদ্দিন আমাকে পাতাকা উত্তোলন করতে বলছে।
দফাদার আলাউদ্দিন বলেন, ভুলবশত পাতাকাটি টানানো হয়। কিন্তু আমি রফিজলকে পতাকা উত্তলোন করতে বলনি। 
দফাদার আলাউদ্দিন বলেন সচিবের উপস্থিতে পতাকা নামানো হয়েছে কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ১২টার দিকে অফিসে এসেছি। আমি অফিসে এসে কালো পতাকা দেখিনি। ভিজিডি কার্ড ও জেলে কার্ডে কিছু চাল বাকি ছিল মঙ্গলবার ২/৪ জনে আশায়  তাদের মাঝে বিতরন করেছি। 
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ, বলেন এই বিষয়ে নিয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি।


তজুমদ্দিন ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন