অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


১৫ বছর আগে প্রথম শুনি আমি জামায়াত-শিবিরকর্মী: প্রেস সচিব


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১লা আগস্ট ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:২১

remove_red_eye

১২৩

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রায় ১৫ বছর আগে তুমি জামায়াতপন্থি ও সাবেক শিবিরকর্মী এমন গুজব প্রথম শোনেন। তিনি বলেন, আমার পরিবারের ধর্মীয় পরিচয় মূলত সুফি মুসলমান। আমাদের বিশ্বাস, চিন্তা এবং অবস্থান জামায়াতের একেবারে বিপরীত।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে গত বছরের ১ আগস্টে যা বলেছিলাম বলে উল্লেখ করেন।

২০২৪ সালের ১ জুলাই স্ট্যাটাসে তিনি বলেছিলেন: আমি প্রথম শুনি যে আমি জামায়াতপন্থি এবং সাবেক শিবিরকর্মী — এই গুজবটি — ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের। সেবার আমি জীবনের সবচেয়ে বড় পেশাগত ভুলটি করেছিলাম — ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতির পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে। কিছু বন্ধু আমাকে অনুরোধ করেছিল নির্বাচন করতে, বলেছিল যে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে রিপোর্টিং ইনচার্জ এবং এএএফপিতে সাংবাদিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আমার পক্ষে যাবে। আমি আপত্তি করিনি।

কিন্তু যখন দেখা গেলো আমি ফ্রন্ট-রানারের (যিনি আমারই এক সাবেক সহকর্মী ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে) একজন সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছি, তখনই একটি পরিকল্পিত প্রচারণা শুরু হলো আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। কারণ ফ্রন্ট-রানারের সাংবাদিকতার রেকর্ড খুব উজ্জ্বল ছিল না। তাই তারা আমার সাংবাদিকতাকে টার্গেট না করে আঘাত হানলো আমার ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর। তারা ভোটারদের — দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার বিজনেস রিপোর্টারদের — বলতে শুরু করলো যে আমি একজন জামায়াত-সমর্থক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য ছিলাম।

 

প্রথমদিকে আমি এই অপপ্রচারে কোনো গুরুত্ব দিইনি। আমি জানতাম আমি কে। আমার কিছু সাংবাদিক বন্ধু জানতেন যে আমার পরিবারের ধর্মীয় পরিচয় মূলত সুফি মুসলমান। আমাদের বিশ্বাস, চিন্তা এবং অবস্থান জামাতের একেবারে বিপরীত। আমি ভেবেছিলাম সত্যটা আপনা আপনি উঠে আসবে এবং গুজব মরে যাবে। কিন্তু নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে এলো, এই গুজব ততই জোরালো হতে থাকল। আর নির্বাচনের দিন আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম — যাদের আমি একসময় নানা উপায়ে সাহায্য করেছিলাম, তারাই আমার দিকে তাকাতে চাইলো না। আমি নির্বাচনে ভয়াবহভাবে হেরে গেলাম।

গত ১৫ বছর ধরে আমি এই গুজব বয়ে বেড়াচ্ছি। যখনই আমার কোনো প্রতিবেদন “প্রবাহের বিপরীতে” যায়, তখনই গুজবটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আমি যখন ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লিখি, তখনই এই গুজবে সয়লাব হয়ে যাই। যুক্তি হলো: “উনি নিশ্চয়ই একজন ইসলামপন্থি, তাই এদের অধিকারের পক্ষে লিখছেন। উপরন্তু, উনি নামাজ পড়েন এবং তার স্ত্রী হিজাব পরেন।” আমি একবার এমন একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের ওপর ফিচার লিখেছিলাম, যিনি ইসলামী মূল্যবোধ ও প্রেম মিলিয়ে লেখেন। পশ্চিমে যেমন “ক্রিশ্চিয়ান রোমান্স” নামে একটি সাহিত্যের ধারা আছে, এটি অনেকটা তেমনই। তখনও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল — কেন আমি ওনার ওপর লিখলাম?

আমার ধারণা, আমাদের সমাজ এখন “ট্যাগিং সংস্কৃতি” থেকে কিছুটা বের হয়ে এসেছে। এর একটি কারণ হলো যারা এই গুজব রটাত, তারা কখনও কোনো গবেষণা করত না। শুরুটা হতো “ভাই, আমি শুনছি ও জামায়াতি” অথবা “ভাই, আমি ওরে নামাজ পড়তে দেখছি” — এরপর তা বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ত। উদ্দেশ্য ছিল খুব পরিষ্কার: কারও ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়া বা তাকে চিরতরে চুপ করিয়ে দেওয়া।

 

আপনি যদি নামাজি হন এবং আওয়ামী লীগ করেন, তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যদি নামাজি হন এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক না হন — তাহলেই আপনি এই ট্যাগিং সংস্কৃতির শিকার হবেন।

আজ জামায়াত ও শিবির নিষিদ্ধ হলো। কিন্তু গত ১৫ বছরে আমরা যে ধরনের উইচ-হান্টিং দেখেছি, তা ছিল আমাদের ইতিহাসে নজিরবিহীন। অনেক ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে। অনেক তরুণকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ধর্মীয় পটভূমি থেকে আসা তরুণ সাংবাদিকেরা ভয়ংকর মূল্য দিয়েছে। তাদের অনেক সম্পাদকের ভূমিকাই ছিল একজন চিয়ারলিডারের মতো — এই নতুন ম্যাকার্থি ঘরানার ‘লাল আতঙ্ক’ কিংবা ‘সবুজ আতঙ্ক’ অভিযানের।

আর এই ট্যাগিং সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক 'ওয়ার অন টেরর' একটি বৈধতা দিয়ে দিয়েছিল।

আশা করি, এই ভয়ের সংস্কৃতি আর বেশিদিন থাকবে না।





ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলায়  যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

ভোলায় যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

লালমোহনে সফল বরই চাষি

লালমোহনে সফল বরই চাষি

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

আরও...