অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ৭ দিন ব্যাপী 'বৃক্ষরোপ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে জুলাই ২০২৫ রাত ০৮:১২

remove_red_eye

১৮৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক :  'পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি” স্লোগানকে সামনে রেখে দ্বীপ জেলা ভোলায় ৭ দিন ব্যাপী  'বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫'র শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ভোলার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফিতা কেটে বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান।
উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় ভোলা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. আরিফুল হক বেলালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক। 
এসময় জেলা প্রশাসক  মোঃ আজাদ জাহান বলেন, আমরা ফলজ ও ওষুধী গাছ লাগাব ও গাছ কিনব। পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষা করে গাছ। মোট জমির ২৫ শতাংশ বনায়ন দরকার, আছে ১৬ শতাংশ,  তাই ভোলায় বেশি বেশি ফল গাছ লাগাব, দেশী ফল খাব।'  

ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, 'মানব সভ্যতা টিকে থাকবে না, যেখানে গাছ নেই, প্রচুর গাছ আছে ভোলায়। যে কটি জেলায় গাছ বেশি, তাঁরমধ্যে ভোলা অন্যতম, আধুনিকতার নামে,  উন্নয়নের নামে যারা গাছ নিধন করছে, এটা প্রতিরোধ করতে হবে, ভোলায় বনজ গাছ বেশি, ফলজ, ওষুধি গাছ কম, ফল ও ওষুধী বেশি লাগাতে হবে। 
ভোলা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. আরিফুল হক বেলাল বলেন, প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন নয়, একটি গাছ প্রত্যক্ষপরোক্ষভাবে ৬০ লাখ টাকার অধিক উপকার করে। আমরা গাছ সংরক্ষণ করবো। উপকূলীয় বন বিভাগ ৬০ এর দশক থেকে ভোলায় বনায়ন শুরু করেছে,  কোস্টাল এলাকার বনায়ন জানমালকে মারাত্মক ঝুঁকি থেকে রক্ষা করছে। ভোলায় মোট জমির ৩৪ শতাংশ বনায়ন আছে। বন কর্মকর্তা আরও বলেন, জুলাই আগষ্টে ভোলা বন বিভাগ সকল শহীদের নামে ভোলার সকল উপজেলায় দুটি করে ফলদ ও ওষুধি গাছ লাগানো হয়েছে।  আবার মনপুরায় সকল শহীদের নামে একটি করে  ৪৮টি গাছ লাগানো হয়েছে। বৃক্ষরোপন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন,  সহকারী বন সংরক্ষক মো মনিরুজ্জামান,  নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি হাজি আবুল কাশেম প্রমুখ। 

৭ দিন ব্যাপী এই মেলায় বন বিভাগ সহ ২২ টি নার্সারি ষ্টল দিয়ে বিভিন্ন জাতের বনজ,ফলদ, ফুল গাছ বিক্রির পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।


ভোলা সদর মোঃ ইয়ামিন



আরও...