অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


মাইলস্টোন ট্রাজেডি: "বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে বোরহানউদ্দিনের মাসুমার কবরে শ্রদ্ধা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে জুলাই ২০২৫ রাত ০৮:০৬

remove_red_eye

১৮৯

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ভোলার বোরহানউদ্দিনের মাসুমা বেগমের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। 
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি দল ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের  দক্ষিণ কোড়ালিয়া মোল্লারহাট গ্রামে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে দলটি মাসুমার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্ৰামের বাড়িতে আসে।
তারা মাসুমা বেগমের কবরস্থানে বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ।

উইং কমান্ডার এবিএম সরোয়ার জাহান এর নেতৃত্বে বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল মাসুমার কবর জিয়ারত করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপণ করেণ। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত মাসুমার স্বামী মোঃ সেলিম, ছেলে আবদুল্লাহ,  বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আরও অনেকে। এরপর  বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে মাসুমা বেগমের পরিবারের জন্য দুপুরের খাবার দেওয়া হয়।

বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে মাসুমার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও জিয়ারত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার স্বামী মো: সেলিম ও ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনীকে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বরিশাল বিমান বাহিনীর রাডার ইউনিটের উপ-অধিনায়ক উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার জাহান বলেন,  আমরা সবার জন্য সমব্যথী। তাদের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাত বাসী করবেন । ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।  নিহত মাসুমার পরিবারকে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে যত রকমের সহযোগিতা দরকার আমরা তা করব। বাংলাদেশে বিমান বাহিনী কথা দিচ্ছে এ ব্যাপারে যেকোন তদন্ত সুষ্ঠ ভাবে হবে।



উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিনের মোল্লারহাট গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে রবিবার দাফন করা হয় মাসুমাকে। মাসুম বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে। মাসুমা বেগম স্বামী ও এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে  চাকুরি করতো।  ঘটনার দিন সে বিধ্বস্ত ক্লাশ রুমটির সামনে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলো। এসময় বিমানটি তার সমনেই আছড়ে পরে। এসময় সে ওই ক্লাসের ৬/৭ জন শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাচাতে গেলে সে ভয়াবহ ভাবে অগ্নীদগ্ধ হয়। পরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬জুলাই  মৃত্যুবরণ করে।


বোরহানউদ্দিন ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন



আরও...