অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ই মে ২০২৫ রাত ০৮:০০

remove_red_eye

২৩২

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউডিদ্দনে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (১৫মে) সকালে বোরহানউদ্দিন পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর আগে গত বুধবার দুপুরে পৌরসভার হাওলাদার মার্কেটে শিক্ষক রক্তিম শর্মার মালিকাধীন শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে ছাত্রীর সাঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষককে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই ঘটনা এলাকায় উত্তেজনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিচার দাবি ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষক রক্তিম শর্মা উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সত্য হরি শর্মার ছেলে। স্থানীয়রা আরো জানায়, এ শিক্ষক এর আগেও এরকম একাধিক অনৈতিক কর্মকান্ড করে পার পেয়ে যান। তাই তারা এ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি পূর্বের অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবি করেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদা খানম জানান, এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে জরুরী সভা করা হয়েছে। সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় তদন্তের জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বৃহস্পতিবার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার গণিত বিভাগের শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাওলাদার মার্কেটে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। বুধবার সকালে এক মুসলিম ছাত্রী একা তার কম্পিউটার সেন্টারে যান। দীর্ঘ সময় পর ওই ছাত্রীসহ তিনি রিকশায় করে বাজারে গিয়ে ফুল ও বিরিয়ানী আনেন। ওই সময় স্থানীয়রা ওই কম্পিটার সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থা দেখতে পান। এরপর তাদেরকে ওই কম্পিউটার সেন্টারের ভিতর আটক করে রাখেন। এ সময় ট্রেনিং সেন্টারের ভিতর জন্মনিরোধ সামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নেওয়ার চেষ্টা করেন। উত্তেজিত জনতা শিক্ষক রক্তিম শর্মাকে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে বাধ্য করেন।





আরও...