অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চোখের আলো ফিরে পাচ্ছেন ১০ হাজার মানুষ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫শে এপ্রিল ২০২৫ রাত ০৮:৫৩

remove_red_eye

৮৯

৬ মাসব্যাপী চোখের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে

 

চরফ্যাশন প্রতিনিধি : উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের ১০ হাজার মানুষকে ৬ মাসব্যাপী চোখের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় আমার চোখ আমার আলো’ নামের পাইলট প্রকল্পের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে ১০ শস্যা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সিপিপি’র পরিচালক আহমাদুল হক। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, বিডিপিসি’র পরিচালক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য দেন, ডাটা ইয়াক্কা অস্ট্রেলিয়ার আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মাদ হাসিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুজাফর, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ আনোয়ার হোসেন, ভোলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান, এবং চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রসনা শারমিন মিথি। এছাড়াও অংশীজন সভায় বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক র‍্যান্ডেল স্ট্যাফোর্ড, আদ-দীন ফাউন্ডেশনের রবিউল হক, বিএনএসবি হাসপাতালের শরিফুজ্জামান পরাগ, সাইটসেভারস-এর বিএম জাহিদুল ইসলাম, ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশন-এর একেএম বদরুল হক, ভিশনস্প্রিং-এর মাইশা মেহজাবিন এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল-এর মুনীর আহমেদ। সভায় বক্তারা বলেন, এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রান্তিক জনগণের জন্য একটি নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং ভবিষ্যতে এই মডেল দেশের অন্যান্য জেলাতেও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সভায় জানানো হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ‘আমার চোখ আমার আলো’ প্রকল্পের আওতায় ৮,৫০০-এর বেশি রোগী চক্ষু চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও ৪,৬০০ মানুষের মাঝে চশমা বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩,০০০-এর বেশি চোখের ছানি অপারেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং যাদের জটিলতা বেশি, তাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু সেবা দেওয়ার জন্য এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আইটি বিশেষজ্ঞ হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, যাতে করে চক্ষু সেবা প্রোগ্রামের মাধ্যমে হত দরিদ্র মানুষ চোখের আলো ফিরে পায়। 'আমার চোখ আমার আলো' প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার (বিডিপিসি), আদ্-দ্বীন হাসপাতাল, ডাটা ইয়াকা ও ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষদের এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে চোখের আলো ফিরে পাচ্ছেন উপকূলীয় এলাকার ১০ সহস্রাধিক মানুষ।