অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৭শে মার্চ ২০২৫ | ১৩ই চৈত্র ১৪৩১


ভোলার চরাঞ্চলে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা মার্চ ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬

remove_red_eye

৫০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার চরাঞ্চলে কৃষির উন্নয়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় চরাঞ্চলের কৃষি সম্ভাবনা, উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিভাগ বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শামীম আহমেদ। প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনিস্টীটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সিনিয়ার কর্মকর্তা গন প্রশিক্ক্ষক হিসাবে উপস্থীত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চরাঞ্চলের উচ্চ ফলনশীল শস্য উৎপাদনের কৌশল, সম্ভাবনাময় ফসলের চাষাবাদ প্রসার এবং কৃষির মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষির ওপর যে প্রভাব পড়ছে, তা মোকাবিলায় টেকসই কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে কৃষকদের সহায়তা করতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
 প্রধান অতিথি ড. মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ভোলায় ২৭ হাজার হেক্টর চর এলাকায় রয়েছে। কৃষির উন্নয়ন করতে গেলে অবশ্যই চরের উন্নয়ন করতে হবে। চর এলাকায় কৃষকদের লাগসই প্রযুক্তি যাতে সম্প্রসারন করা যায় তাই এই প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। যাতে করে কৃষকদের সাথে থেকে পাশে থেকে কৃষকদের উন্নয়ন করা যায়।
 ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. শামীম আহমেদ বলেন চরাঞ্চলে কৃষির সম্ভাবনা অনেক, তবে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি, সঠিক সেচ ব্যবস্থা ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব। চরাঞ্চলে কৃষির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই ধরনের কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠপর‌্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির বিস্তার ঘটাবেন, যা কৃষকদের আয়ের পথ সুগম করবে এবং সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন বাড়াবে।
অংশ গ্রহ কারি উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চরাঞ্চলের কৃষকরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন এবং তাদের উৎপাদিত ফসল ন্যায্য মূল্যে বাজারজাত করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তারা প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং মাঠপর‌্যায়ে প্রয়োগে সহযোগিতা করবেন। কর্মশালায় ভোলার বিভিন্ন উপজেলার ৩০ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশ নেন।





আরও...