অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৭শে মার্চ ২০২৫ | ১৩ই চৈত্র ১৪৩১


ভোলায় দুগ্ধজাত পণ্যের মানোন্নয়নে দুই দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ০৮:৫২

remove_red_eye

৫৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাসনে "নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন" শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় "উদ্যোক্তাদের বিদ্যমান দুগ্ধপণ্যের ফর্টিফিকেশন ও নতুন পণ্য উৎপাদন" বিষয়ে দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার এর সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে নানা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।

আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ) আয়োজনে এবং পিকেএসএফ ও ইফাদের আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তায় গত ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি চরফ্যাশন উপজেলার ৩নং ওয়ার্ড, কুলসুমবাগে উৎসব সুইটস্ এন্ড বেকারি লিমিটেড-এর কারখানায় এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণে হরেক রকমের নতুন দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির পদ্ধতি ও গুণগত মান উন্নয়নে জেলার চরফ্যাশন এবং লালমোহন উপজেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত, তাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো গ্রাহকের কাছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য পৌঁছে দেওয়া। একইসাথে, এটি ডেইরি খামারীদের জন্য লাভজনক হবে—এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।”


প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, “এই প্রশিক্ষণ চরাঞ্চলের দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণের প্রতিটি দিক অনুসরণ করলে নতুন দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে আরও সফলতা আসবে।”

পরিবার উন্নয়ন সংস্থার আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডাঃ মোঃ ছাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রশিক্ষণ দলটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুগ্ধপণ্যের গুণগতমান অক্ষুণ্ণ রেখে বিভিন্ন ফ্লেভারের নতুন পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করেন। এ ধরনের প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে দুগ্ধ খাতের আরও উন্নয়নে সহায়ক হবে বলেও জানান তিনি।





আরও...