অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৭শে মার্চ ২০২৫ | ১৩ই চৈত্র ১৪৩১


ভোলার বিসিকে ক্ষুদ্রশিল্প প্রতিষ্ঠানে অনুমোদনের পরেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ১১:১৩

remove_red_eye

৭৫

লোকসানের মুখে  উদ্যোক্তা

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক ॥ ভোলায় বিসিক শিল্প নগরীতে ক্ষুদ্রশিল্পে গ্যাস সংযোগ অনুমোদন হলেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।বিসিক নিজস্ব অর্থায়ন ও  প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ জামানত দিয়ে গ্যাস সংযোগ লাইনের কাজ সম্পন্ন করলেও গ্যাসের দেখা মেলেনি।এতে বড় ধরনের  ক্ষতির সমুক্ষিন হয়েছে বিসিক শিল্প নগরীর ক্ষুদ্রশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।ফলে হতাশায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
বিসিক শিল্প নগরীর ক্ষুদ্রশিল্প ব্যবসায়ীর একাংশ জানান,গত বছরে ভোলায় সার্কিট হাউজে যখন জ্বালানী উপদেষ্টা ফাউজুল কবির খান শিল্পমালিকদের গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।উপদেষ্টার সেই ঘোষণার পর বিসিক শিল্পনগরীর ক্ষুদ্র শিল্প মালিকরা গ্যাস সংযোগের জন্য পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে  সর্বপ্রথম ভোলার বিসিক শিল্পনগরীর মেসার্স জে.কে ট্রেডার্সকে গ্যাস সংযোগের অনুমোদন দেন। গত বছরের ২ ডিসেম্বর শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সংযোগের চিঠিটি মালিক পক্ষকে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ করেন। পরে বিসিক নিজস্ব অর্থায়নে গ্যাস সংযোগ লাইনের কাজ সম্পন্ন করেন। রাষ্ট্রয়াত্ত্ব কোম্পানির সকল নিয়মকানুন মেনে শতভাগ জামানতও দেয়া হয়। তবে অজ্ঞাত কারনে সেখানে গ্যাস সরবরাহ এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বিসিক শিল্প নগরীর কারখানাগুলোর মধ্যে  মেসার্স জে,কে ট্রেডার্স কোম্পানি গ্যাস সরবরাহ হলে কাজের চাপ বাড়বে ভেবে  শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ দেয়। গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় আগেভাগে লোক নিয়োগের বিষয়টি এখন প্রতিষ্ঠানটির কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলার বিসিক শিল্পনগরীর জে,কে ট্রেডার্সের মালিক মো: জামাল উদ্দিন খান জানান,আমি প্রায় পাঁচকোটি টাকা ব্যয় করে বহু বুকভরা আশা নিয়ে কোম্পানির কার্যক্রমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করি। কিন্তু কোনো এক  অদৃশ্য কারনে আমার কারখানায় গ্যাস চালু করা হলো না।
তিনি বলেন,আমি মাস খানেক ধরে  শতাধিক শ্রমিককে বসিয়ে রেখে বেতন দিয়ে যাচ্ছি। এখন এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি  শ্রমিকদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।  
অন্যদিকে ওই কোম্পানির শ্রমিকরা কারখানার কাজ শুরু না হওয়ায় এখন বেকার হয়ে পড়েছে। গনমাধ্যমের কাছে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে কথা হয়  সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো: অলিউর রহমানের সাথে।
 তিনি জানান,ভোলার গ্যাস তো জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত নয়। সেই আলোকে ভোলায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দিতে কোনো বাধা নেই। জে,কে ট্রেডার্স কোম্পানির গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি অফিশিয়াল ভূল বোঝাবুঝি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বলে দাবী করেন তিনি। তবে অতি দ্রুত সংযোগ দেয়া হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভোলার বিসিক শিল্পনগরীর জেলা কর্মকর্তা এসএম সোহাগ হোসেন বলেন,সরকারি অর্থায়নে আমরা গ্যাস লাইন টানার কার্যক্রম সমাপ্ত করি। কিন্তু সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি নিজেদের অফিসিয়াল সিষ্টেম লসের কারনে গ্যাস সঞ্চালন দিতে বিলম্ব করছেন।





আরও...